১৯ আগস্ট অভ্যুত্থানের কলঙ্ক চিরকাল বয়ে বেড়াতে হবে আমেরিকা ও ব্রিটেনকে
(last modified Sun, 18 Aug 2024 12:59:12 GMT )
আগস্ট ১৮, ২০২৪ ১৮:৫৯ Asia/Dhaka
  • ১৯ আগস্ট অভ্যুত্থানের কলঙ্ক চিরকাল বয়ে বেড়াতে হবে আমেরিকা ও ব্রিটেনকে

পার্সটুডে- ২৮ আগস্ট অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই অভ্যুত্থানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, (ফার্সি ২৮ মোরদার ১৩৩২ সাল) ১৯৫৩ সালের ১৯ আগস্ট অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইরানের নির্বাচিত ও একটি জনপ্রিয় সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কেলেঙ্কারি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনকে সারা জীবন বয়ে বেড়াতে হবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র "নাসের কানআনি" ২৯ আগস্ট ওই অভ্যুত্থানের বার্ষিকীতে এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কে লিখেছেন, দাসপ্রথা, ঔপনিবেশিকতা, অভ্যুত্থান এবং অন্যান্য দেশে সামরিক হস্তক্ষেপের ঘটনাগুলো বিশ্বজুড়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের লজ্জা ও কলঙ্কজনক ইতিহাসের সামান্য অংশমাত্র।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আরও বলেছেন,

কলঙ্কজনক ইতিহাস বয়ে বেড়ানো এই দুই দেশ বর্তমানে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত ও বর্ণবাদী ইসরাইলকে এবং গাজায় চলমান গণহত্যাকে সমর্থন করছে। একই সাথে তারা নিজেদেরকে মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের পতাকাবাহী বলে মনে করছে।

৭১ বছর পর আজ রবিবার ২৯ আগস্টের অভ্যুত্থান মামলার প্রথম শুনানি তেহরান প্রদেশের আদালতের আন্তর্জাতিক বিষয়ক ৫৫ তম শাখায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১৯৫৩ সালের ২৯ আগস্ট অভ্যুত্থান ঘটনায় আদালত ইরানের  চার লাখ নাগরিকদের দায়ের করা মামলা গ্রহণ করে। মার্কিন সরকার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ, মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ এবং ফেডারেলসহ ২৯ আগস্ট অভ্যুত্থানের এজেন্টদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই মামলার পিটিশনে ১৩টি প্রধান অনুচ্ছেদ রয়েছে যা অভ্যুত্থানের ফলে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতি হল ইরানের তেলসম্পদ লুট করার ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেনের কর্মকাণ্ড এবং সেইসাথে ইরানি জাতির উপর ২৫ বছর ধরে অত্যাচারী পাহলভি শাসন ব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া। এ দুটি বিষয় মামলার নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

২৯শে আগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন ইরানের অত্যাচারী শাসকগোষ্ঠীর অনুগত কিছু সেনা সদস্যের দ্বারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মোসাদ্দেগ সরকারকে উৎখাত করে এবং বিদেশে পালিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ রেজা পাহলভিকে ইরানের ক্ষমতায় বসায়। মোসাদ্দেগ সরকারের পতনের সাথে সাথে সাম্রাজ্যবাদী সরকারগুলো আবারো ইরানে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়।

ইরানে তেল শিল্পকে জাতীয়করণ আন্দোলন বিজয়ের একই সময়ে ২৯শে আগস্টে ওই  অভ্যুত্থান ঘটায় যুক্তরাষ্ট ও ব্রিটেন।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসনে

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।