ইউরোপকে ইরানি সংসদ স্পিকার ও পররাষ্ট্র-সম্পর্ক কৌশলগত পরিষদ-প্রধানের হুঁশিয়ারি 
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i142872-ইউরোপকে_ইরানি_সংসদ_স্পিকার_ও_পররাষ্ট্র_সম্পর্ক_কৌশলগত_পরিষদ_প্রধানের_হুঁশিয়ারি
ইসলামী ইরানের সংসদ (মজলিসের) স্পিকার বাকের কলিবফ বলেছেন, ইউরোপীয় জোট ও আরও কয়েকটি সরকার- যারা অদ্ভুত নানা দাবি তুলে ধরছে তাদের জানা উচিত বু-মুসা, বড় তুম্ব ও ছোট তুম্ব নামক তিনটি দ্বীপ ইরানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
অক্টোবর ২১, ২০২৪ ১৭:০৮ Asia/Dhaka
  • ইসলামী ইরানের সংসদ (মজলিসের) স্পিকার বাকের কলিবফ
    ইসলামী ইরানের সংসদ (মজলিসের) স্পিকার বাকের কলিবফ

ইসলামী ইরানের সংসদ (মজলিসের) স্পিকার বাকের কলিবফ বলেছেন, ইউরোপীয় জোট ও আরও কয়েকটি সরকার- যারা অদ্ভুত নানা দাবি তুলে ধরছে তাদের জানা উচিত বু-মুসা, বড় তুম্ব ও ছোট তুম্ব নামক তিনটি দ্বীপ ইরানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। 

বাকের কলিবফ বলেছেন, পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের উচিত ইসলামী ইরানের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতার ব্যাপারে ভিত্তিহীন দাবি অব্যাহত না রেখে ইহুদিবাদী ইসরাইলের যুদ্ধ-যন্ত্রকে বন্ধ করার ক্ষেত্রে তার শক্তি ব্যবহার করা। 

কলিবফ একই প্রসঙ্গে ইউরোপীয় জোট (ইউরোপীয় ইউনিয়ন) ও পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সাম্প্রতিক যৌথ-বিবৃতির দিকে ইঙ্গিত করে একই প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ওই তিনটি দ্বীপ ইরানের দেহের অংশ। তিনি বলেন, বু-মুসা, বড় তুম্ব ও ছোট তুম্ব নামক তিনটি দ্বীপ ইরানের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এই প্রতিষ্ঠিত সত্যের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার সাহস কারো নেই। ইরানি স্পিকার ওই তিনটি দ্বীপের ওপর ইরানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন সৃষ্টিকারী সরকারগুলোকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, এই দেশগুলো যদি তাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চায় তাহলে এটা তাদের জন্য উত্তম যে তারা যেন এই সত্য প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইরানি জাতির ইচ্ছা পরীক্ষা না করে। তিনি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দ্বীপগুলোর উন্নয়নের ব্যাপারে ইরানের সপ্তম উন্নয়ন পরিকল্পনা আইনের ৬১ নম্বর ধারা বাস্তবায়নের কার্যকর ব্যবস্থাপনাগুলো তৈরি করতে তেহরান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে  ইসলামী ইরানের পররাষ্ট্র-সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদ প্রধান ডক্টর কামাল খাররাজি ইরানের তিনটি দ্বীপ সম্পর্কে আরব আমিরাতের দাবির প্রতি ইউরোপীয় জোটের সমর্থনের উদ্দেশ্য তুলে ধরে দেশটির কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের ভৌগলিক অখণ্ডতা নিয়ে দেশটির সঙ্গে শত্রুতা পরিহার করুন এবং দ্বীপের ব্যাপারে আমিরাতি দাবির সমর্থক এর ও ওর শরণাপন্ন না হয়ে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় ফিরে আসুন যাতে ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও বিদ্যমান দলিল-প্রমাণের ভিত্তিতে মতভেদগুলো নিরসন করা যায় ও এ অঞ্চলে শান্তি আর স্থিতিশীলতা বাড়ানোর কাজে মশগুল থাকা যায়। আর তা না হলে অন্যরা আমিরাতি নেতাদের পায়ের সামনে যে পথ খুলছে তা ধ্বংসযজ্ঞ ও যুদ্ধ ছাড়া অন্য কিছুই বয়ে আনবে না বলে খাররাজি সতর্ক করে দেন। যেসব সরকার বা শক্তি আমিরাতের ওই দাবির প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে তারা অর্থনৈতিক কিছু স্বার্থ হাসিলের ধান্দায় রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। #

পার্সটুডে/এমএইইচ/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।