'শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের সমর্থনে অবিচল থাকব'
(last modified Wed, 12 Feb 2025 05:51:52 GMT )
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৫ ১১:৫১ Asia/Dhaka
  • ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীর মিছিলে অংশগ্রহণকারী দুই ইরানি তরুণী
    ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীর মিছিলে অংশগ্রহণকারী দুই ইরানি তরুণী

পার্স-টুডে- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর ইরানি ইউজাররা ইরানের ইসলামী বিপ্লবের বিজয়কে ইরানি জাতির এক বিরাট সাফল্য বলে মনে করেন এবং তারা বলেছেন: ইসলামী বিপ্লব ছিল এমন এক প্রভাত বা সূর্যোদয় যা পূর্ব ও পশ্চিমের অজ্ঞতা আর অন্ধকারের পর্দাগুলোকে করেছে বিলুপ্ত।  

এই ঐতিহাসিক বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানি জাতি মার্কিন-সমর্থিত পাহলাভি শাসনের অবসান ঘটিয়েছিল। আর এই বিপ্লবের ৪৬তম বিজয়-পূর্তি তথা ৪৭তম বছর শুরু উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এর ইরানি ইউজাররা ব্যাপক মন্তব্য ও অনুভূতি প্রকাশ করেছে। 

পার্সটুডের এ সংক্রান্ত খবর থেকে তাদের কিছু মন্তব্য তুলে ধরছি এখানে: 

ফেরদৌস আবদুল খানি লিখেছেন, ইসলামী বিপ্লব ছিল এমন এক প্রভাত বা সূর্যোদয় যা পূর্ব ও পশ্চিমের অজ্ঞতা আর অন্ধকারের পর্দাগুলোকে করেছে বিলুপ্ত ও ইরানকে করেছে আলোর বন্যায় প্লাবিত। 

সাইয়্যেদ ইয়াসির জিব্রাইলি ইসলামী বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীর রাতে গোটা ইরান জুড়ে আল্লাহু আকবর বা আল্লাহ সবচেয়ে বড় –এই বাক্যটি উচ্চস্বরে ঘোষণা করার প্রথাটি এ বছরও পালন করা সম্পর্কে লিখেছেন: আল্লাহু আকবর তথা ইরানি জাতির ইসলামী বিপ্লব যেমনটি স্বৈরাচারী পাহলাভি শাসক ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তির ওপর বিজয়ী হয়েছে তেমনি তা গোষ্ঠী-শাসনতন্ত্র বা অলিগার্কির শোষণের ওপরও বিজয়ী হবে। আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমাদের প্রাজ্ঞ নেতা ইমাম খামেনেয়ীর সমর্থনে অবিচল থাকব এবং উদ্দীপনাময় উপস্থিতির মাধ্যমে ঘোষণা করব যে স্বাধীনতা ও মুক্তি কেবল ইসলামী প্রজাতন্ত্রের ছায়াতলেই অর্জন করা যায়।  

সায়িদ পিশওয়ায়ি তার এক্স পেইজে লিখেছেন: ইরানের ইসলামী বিপ্লব ছিল এমন এক যুগ-সন্ধিক্ষণ যা জনগণের হৃদয়ে আশার আলো জীবন্ত করেছে। বিজ্ঞ নেতা ইমাম খোমেনীর (মহান আল্লাহ তাঁর ওপর সন্তুষ্ট হোক) নেতৃত্বে ইরানি জাতি মুক্তি ও স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আসুন আরও উজ্জ্বলতর ভবিষ্যত রচনা করতে আমরা এই পথ চলা অব্যাহত রাখি।  

ইব্রাহিম ইজ্জতাজাহা ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর যুদ্ধ-বিরতি চাপিয়ে দিতে গাজার জনগণের সাম্প্রতিক বিজয়ের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন:  গাজার জনগণের বিজয় ইরানের ও এর ইসলামী বিপ্লবের শক্তিমত্তারই আরেক অর্জন। এ বছর শত্রুদের ইচ্ছার বিপরীতে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় উৎসব গাজার বিজয়ের পাশাপাশিই পালন করা হবে।  

মায়েদেহ রাজাভি নামের এক ইরানি নারী লিখেছেন, ইসলামী বিপ্লব ইরানকে মুক্তি দিয়েছে দাম্ভিক সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর পঙ্কিলতার ওপর নির্ভরতা থেকে এবং একটি স্বাধীন সরকার গঠনের মাধ্যমে জাতির শরীর বা অবকাঠামো গড়ে তুলেছে।

কৌসার বাকেরি ১১ ই ফেব্রুয়ারিতে বিপ্লবের বিজয়-বার্ষিকীর শোভাযাত্রায় কোটি কোটি ইরানির অংশগ্রহণ সম্পর্কে লিখেছেন, শহর জাগ্রত, সড়কগুলো প্রাণোচ্ছল হয়ে উঠেছে, প্রতিটি অলি-গলি থেকে জনতার স্রোত তেহরানের আজাদি স্কোয়ারে গিয়ে মিশেছে। বিপ্লবী সংগীতগুলোর শব্দ জাতির সুদৃঢ় পদক্ষেপের সঙ্গে সুর মিলাচ্ছে। এতো কেবল শোভাযাত্রা বা র‍্যালী নয়, এটা বিপ্লবী শপথ বা লক্ষ্যগুলোর প্রতি অঙ্গীকারের নবায়ন।  

এক্স-এর ইউজার অরমিতা ইসলামী বিপ্লবকে সফল করার ক্ষেত্রে ইমাম খোমেনীর প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের দিকে ইঙ্গিত করে লিখেছেন, ইসলামী বিপ্লব ছিল ইরানের ইতিহাসে নবযুগের সূচনা। এ বিপ্লব সফল হয়েছিল সমাজের সব স্তরের মানুষের একতার কারণে। ২২বাহমান তারিখে তথা ১১ ফেব্রুয়ারি ইরান বাইরের নির্ভরশীলতাগুলো থেকে মুক্ত হয়। 

পারনিয়া লিখেছেন: ইরানে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় ছিল এক খোদায়ি  মুজিযা বা ঐশী অলৌকিকতা। আর এই অলৌকিকতা ঘটেছে মহানবীর (সা) এক বংশধরের হাতে। এই মুজিযা বিশ্বের মজলুম, বঞ্চিত ও শোষিত মানুষদের আশার নয়নকে করেছে মহা-বিস্ময়ে আকর্ষিত।  তাঁর মতে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের রয়েছে তিনটি স্তম্ভ: ইসলাম, আধ্যাত্মিক বা ধর্মীয় নেতৃত্ব ও জনগণ। আর এই তিনটি স্তম্ভই ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক ভূমিকা রেখেছে।#  

পার্সটুডে/এমএএইচ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।