বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচিত
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i148264-বিপ্লবী_গার্ড_বাহিনীর_নতুন_ভূগর্ভস্থ_ক্ষেপণাস্ত্র_শহর_উন্মোচিত
পার্সটুডে-ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্স কয়েক কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেলসহ তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ২৬, ২০২৫ ১৭:৪৯ Asia/Dhaka
  • বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচিত
    বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচিত

পার্সটুডে-ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্স কয়েক কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ টানেলসহ তাদের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শহর উন্মোচন করেছে।

পার্সটুডে আরও জানায়, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্স মঙ্গলবার তাদের শত শত ক্ষেপণাস্ত্র শহরের একটিতে ক্ষেপণাস্ত্রের একটি বিশাল ভাণ্ডার উন্মোচন করেছে।

এসব ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে 'খাইবারশেকান, হাজ কাসেম, এমাদ, সিজ্জিল, কাদর-H এবং ক্রুজ পাভেহ' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ ওই উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির আলী হাজিজাদেহ

ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র শহর পরিদর্শনকালে মেজর জেনারেল বাকেরি ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন: ইরানের সশস্ত্র বাহিনী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তাদের অগ্রগতি, উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির পথ অব্যাহত রেখেছে।

তিনি আরও বলেন: ট্রু-প্রমিজ: ১ এবং ২-এর সফল অভিযানের পর আমরা জানি শত্রুর ক্ষতি এবং দুর্বলতা কোথায়। আমরা সেই পয়েন্টগুলোতে আঘাত হানার জন্য আমাদের লৌহমুষ্টিকে আরও বেশি শক্তিশালী করব।

মেজর জেনারেল বাকেরি আরও বলেন: আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা বৃদ্ধির হার শত্রুদের দুর্বলতা মেরামতের গতির চেয়ে অনেক দ্রুত। সুতরাং শত্রুরা অবশ্যই পিছিয়ে থাকবে।

ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অ্যারোস্পেস ফোর্সের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র শহরের ছবি

ভাসমান এবং ক্ষেপণাস্ত্র শহরগুলোর গুরুত্ব ও ক্ষমতার বিভিন্ন মাত্রা রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল:

১. কৌশলগত নিরাপত্তা: যেহেতু এই ঘাঁটিগুলো ভূগর্ভে অবস্থিত, তাই নিরাপত্তার দিক থেকে এগুলো খুবই প্রতিরোধী এবং শত্রুর বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ থেকে সুরক্ষা পেতে পারে।

২. গোপন অভিযান: সামরিক বাহিনী গোপন এবং আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে ভূগর্ভে অবস্থিত ঘাঁটিগুলো অনেক বেশি সক্ষম ও উপযোগী। এটি সংকটপূর্ণ পরিস্থিতিতে এবং অসম যুদ্ধে খুবই কার্যকর হতে পারে।

৩. সামুদ্রিক অভিযানের ক্ষেত্রেও সহায়ক: ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান এবং সামুদ্রিক হুমকির কারণে এই ধরনের ঘাঁটির অস্তিত্ব সামুদ্রে নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনায় সহায়তা করতে পারে।

৪. উন্নত সরঞ্জাম মোতায়েন করার ক্ষমতা: এই ঘাঁটিগুলোতে সামরিক সরঞ্জাম, ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ছোট জাহাজ মোতায়েন করা সম্ভব।

৫. লজিস্টিক অবকাঠামো: এই ঘাঁটিগুলোতে সামরিক বাহিনীর চাহিদা মেটাতে লজিস্টিক সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে অস্ত্রের ডিপো, মেরামতের গ্যারেজ এবং নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র।

৬. সংকট ব্যবস্থাপনা: সংকট ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা এবং বিভিন্ন হুমকির ব্যাপারে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম।#

পার্সটুডে/এনএম/২৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।