ইরান-রাশিয়া অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেনে ডলারের অবসান
https://parstoday.ir/bn/news/world-i153226-ইরান_রাশিয়া_অর্থনৈতিক_ও_বাণিজ্যিক_লেনদেনে_ডলারের_অবসান
পার্সটুডে-রাশিয়া-ইরান বাণিজ্যিক পরিষদের প্রধান বলেছেন: আইন সহজীকরণ, বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি, কৃষি ও উত্তর-দক্ষিণ ট্রানজিট ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইরান-রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।
(last modified 2025-11-28T10:09:50+00:00 )
অক্টোবর ২০, ২০২৫ ১৬:১৮ Asia/Dhaka
  • রুশ-ইরান বাণিজ্যিক পরিষদের চেয়ারম্যান লিওনিদ লুঝেনকো
    রুশ-ইরান বাণিজ্যিক পরিষদের চেয়ারম্যান লিওনিদ লুঝেনকো

পার্সটুডে-রাশিয়া-ইরান বাণিজ্যিক পরিষদের প্রধান বলেছেন: আইন সহজীকরণ, বাণিজ্য অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রযুক্তি, কৃষি ও উত্তর-দক্ষিণ ট্রানজিট ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ইরান-রাশিয়া অর্থনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।

রাশিয়া-ইরান ব্যবসায়িক পরিষদের চেয়ারম্যান লিওনিদ লুঝেনকো ক্যাস্পিয়ান সাগর চেম্বার অফ কমার্সের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সহযোগিতা পরিষদের ২২তম অধিবেশনে বলেছেন: রাশিয়া-ইরান ব্যবসায়িক পরিষদে, আমরা একটি কৌশলগত পরিকল্পনা নিয়ে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা এগিয়ে নিচ্ছি এবং নতুন প্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ, চিকিৎসা বিশেষ করে সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়নকে মূল অগ্রাধিকার হিসেবে অনুসরণ করছি।

ইরান রেডিও এবং টেলিভিশন এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, লুঝেঙ্কো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধির গুরুত্ব উল্লেখ করে আরও বলেন: ইরানে রাশিয়ার রপ্তানির সিংহভাগের মধ্যে রয়েছে শস্য, কাঠ, তৈলবীজ, রাসায়নিক, অ্যালুমিনিয়াম, কয়লা এবং লোহা ও ইস্পাত। অন্যদিকে ইরান রাশিয়ায় খুচরা যন্ত্রাংশ, জ্বালানি পণ্য, সিরামিক, সিমেন্ট এবং কৃষি পণ্যও রপ্তানি করে। দুই দেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের প্রায় ৬০ শতাংশই কৃষি পণ্য।

এই বৈঠকে রাশিয়ার শিল্প, অর্থনীতি এবং কৃষি মন্ত্রণালয়সহ দু'দেশেরই ব্যাংকের প্রতিনিধিদের উপস্থিতির কথাও জানান তিনি। লুঝেঙ্কো আরও বলেন: ইরান ও রাশিয়ার মধ্যকার ৮০ শতাংশেরও বেশি বাণিজ্যিক লেনদেন রিয়াল এবং রুবেলে পরিচালিত হচ্ছে। এটি আর্থিক স্বাধীনতা এবং তৃতীয় মুদ্রার ওপর নির্ভরতা হ্রাসের পথে একটি বড় রকমের পদক্ষেপ।

এদিকে, রুশ ফেডারেশনের চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ভাইস প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি কোরোচকিন নতুন বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ক্যাস্পিয়ান অঞ্চলের কৌশলগত অবস্থানের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন: ক্যাস্পিয়ান সাগরের সমৃদ্ধ জ্বালানি সম্পদ, ট্রানজিট রুট এবং অনন্য ভূ-অর্থনৈতিক অবস্থানের কারণে, বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান মেরু হয়ে উঠতে পারে। উত্তর-দক্ষিণ আন্তর্জাতিক করিডোর ক্যাস্পিয়ান অঞ্চলকে বিশ্বব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য একটি মাল্টিমোডাল ট্রানজিট রুটে রূপান্তর করার এবং ইরান, রাশিয়া, আজারবাইজান, কাজাখস্তান ও তুর্কমেনিস্তানের মধ্যে লেনদেন বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম প্রদানের সম্ভাবনা রাখে।

ইরানের বাজারে রাশিয়ান ব্যবসায়ীদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহের কথা উল্লেখ করে কোরোচকিন বলেন: কৃষি, প্রযুক্তি এবং জ্বালানি ক্ষেত্রে ইরানের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। ইরান এবং ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক ইউনিয়নের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর এবং ব্রিকস গ্রুপে তেহরানের সদস্যপদ দু'দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করেছে।

গত দুই বছরে ক্যাস্পিয়ান অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেনের পরিমাণ ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেছেন কোরোচকিন। তিনি বলেন: "শুল্ক, সরবরাহ এবং অবকাঠামোর ক্ষেত্রে বৃহত্তর সমন্বয় ক্যাস্পিয়ান অঞ্চলকে ইউরেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান অক্ষ করে তুলতে পারে। টেকসই প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারিত প্রযুক্তিগত সহযোগিতার দিকে পরিচালিত করার জন্য ক্যাস্পিয়ান দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক লেনদেন একটি সুসঙ্গত এবং অবিচ্ছিন্ন চেইন হিসাবে অব্যাহত রাখতে হবে।#

পার্সটুডে/এনএম/২০

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।