'কূটনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান শক্ত, আমরা আমেরিকাকে শক্ত আঘাত হেনেছি'
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i150476
পার্সটুডে – ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের সময় জাতীয় সংহতি প্রকাশ পেয়েছে যা কিনা শত্রুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন: আগ্রাসীরা ভেবেছিল যে ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ইরানের শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা যাবে।
(last modified 2025-07-18T12:15:02+00:00 )
জুলাই ১৮, ২০২৫ ১৬:০৯ Asia/Dhaka
  • আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি
    আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি

পার্সটুডে – ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ি বলেছেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের সময় জাতীয় সংহতি প্রকাশ পেয়েছে যা কিনা শত্রুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন: আগ্রাসীরা ভেবেছিল যে ইরানের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ইরানের শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা যাবে।

বুধবার সকালে, ইরানের বিচার বিভাগের প্রধানসহ অন্য বিচারকগণ ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে, ইসলামী বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতা সাম্প্রতিক আরোপিত যুদ্ধে ইরানি জাতির সাহসিকতা এবং ইরানের সব দল মত ও পথের মানুষের ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের কারণে শত্রুদের সব পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন: এই জাতীয় ঐক্য রক্ষা করা সকলের কর্তব্য। পার্সটুডে জানিয়েছে, আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি বলেছেন: ১২ দিনের যুদ্ধে জনগণ দৃঢ় সংকল্প, ইচ্ছাশক্তি এবং জাতীয় আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে, কারণ আমেরিকা এবং তার পোষা  কুকুর ইহুদিবাদী ইসরাইলের মতো শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য চেতনা এবং প্রস্তুতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সাবেক পাহলভি সরকারের এজেন্টদের বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করে, যারা গোপন ও ব্যক্তিগত বৈঠকেও আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস করত না তা  স্মরণ করিয়ে দিয়ে সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইরান সেই সময় থেকে এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা আমেরিকাকে তো ভয় পায় না বরং আমেরিকাকে ইরান ভয় দেখাতে সক্ষম এবং এই জাতীয় চেতনা ও ইচ্ছাশক্তিই ইরানকে মর্যাদার উচ্চ আসনে পৌঁছে দিয়েছে।

বন্ধু ও শত্রু উভয়েরই জানা উচিত যে ইরানি জাতি কোনও ক্ষেত্রেই দুর্বল পক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হবে না এ কথা  জোর দিয়ে বিপ্লবের নেতা আরও বলেন: আমাদের কাছে যুক্তি এবং সামরিক শক্তির মতো প্রয়োজনীয় সমস্ত উপায় উপকরণ রয়েছে, তাই কূটনীতির ক্ষেত্রে হোক বা সামরিক ক্ষেত্রে, যখনই আমরা প্রবেশ করব, আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা পূর্ণ শক্তি নিয়ে এগিয়ে যাব।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী জোর দিয়ে বলেন: যদিও আমরা ইহুদিবাদী ইসরাইলকে ক্যান্সার এবং তাদেরকে সমর্থন দেয়ার কারণে আমেরিকাকে সমান অপরাধী মনে করি, কিন্তু আমরা কখনো আগাম হামলা চালায়নি। তবে শত্রু যখনই আগ্রাসন চালিয়েছে আমরা তাদেরকে চূর্ণবিচূর্ণ করে দিয়েছি।

তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের শক্ত পাল্টা আঘাত হানার কথা জানিয়ে  বলেন, ইসরাইল পতনের দ্বারপ্রান্তে ছিল বলেই তারা আমেরিকার কাছে আবেদন করেছিল যুদ্ধ থামানোর জন্য। তারা বুঝতে পেরেছিল যে ইরানকে মোকাবেলা করতে পারবে না।

বিপ্লবের নেতা মার্কিন হামলার প্রতি ইরানের পাল্টা আক্রমণকে অত্যন্ত বড় ধরনের আঘাত বলে উল্লেখ করে বলেন: ইরান যে কেন্দ্রে আক্রমণ করেছে তা ছিল এই অঞ্চলে একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল মার্কিন সামরিক কেন্দ্র এবং যখন সংবাদ সেন্সরশিপ প্রত্যাহার করা হবে, তখন স্পষ্ট হয়ে যাবে যে ইরান কতটা বিশাল আঘাত হেনেছিল আমেরিকার ওই র্ঘাঁটিতে।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি সাম্প্রতিক যুদ্ধের সময় জাতীয় সংহতিকে গুরুত্বপূর্ণ যা কিনা শত্রুর পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে বলেন: "আগ্রাসীরা ভেবেছিল যে যে ইরানের কিছু উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করে ইরানের শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা যাবে। এরপর তাদের ভাড়াটে অনুচর, মুনাফিক এবং রাজতন্ত্রের অনুসারী থেকে শুরু করে লুকিয়ে থাকা গুন্ডাদের সামনে এনে, তারা জনগণকে উত্তেজিত করে এবং রাস্তায় নামিয়ে এনে ইরানের ইসলামি  শাসন ব্যবস্থাকে শেষ করে দিতে পারে।"#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।