ইরানে পর্যটন ও ইকো-ট্যুরিজম শিল্পে বিদেশি বিনিয়োগের সুবর্ণ সুযোগ
-
ইরানের উত্তর খুজেস্তান প্রদেশের জারাসের পর্যটন গ্রাম
পার্সটুডে : প্রাকৃতিক সম্পদের প্রাচুর্য, তরুণ মানবসম্পদ, কৌশলগত ভৌগোলিক অবস্থান এবং বৈচিত্র্যময় অভ্যন্তরীণ চাহিদার বিবেচনায় ইরানে বিনিয়োগের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে।
অনন্য জলবায়ু, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ ইরান পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য। পার্স টুডে'র প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলবোর্জ ও জাগরোস পর্বতমালা থেকে শুরু করে রহস্যময় মরুভূমি, হিরকানিয়ান অরণ্য থেকে পারস্য উপসাগর ও কাস্পিয়ান সাগরের তীর পর্যন্ত— দেশটি ইকো-ট্যুরিজম বিকাশের বিপুল সম্ভাবনা ধারণ করে। এখনই সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এ সুযোগ কাজে লাগানোর।
ইরানে ইকো-ট্যুরিজম কেবল দেশি-বিদেশি পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহই পাচ্ছে না, বরং সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থনও রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ইরান সরকার কর-ছাড়, ব্যাংক ঋণ সুবিধা এবং পর্যটন প্রকল্পে পূর্ণ মালিকানার সুযোগ প্রদান করছে। একই সঙ্গে টেকসই ও অভিজ্ঞতাভিত্তিক ভ্রমণের চাহিদা বাড়তে থাকায় ইকো-ট্যুরিজম ইরানের পর্যটন শিল্পের দ্রুততম বিকাশমান খাত হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
ইরানের বহু গ্রামীণ ও প্রাকৃতিক এলাকায় প্রাথমিক অবকাঠামো বিদ্যমান। তাই ইকো-লজ, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, স্থানীয় রেস্তোরাঁ এবং প্রকৃতিনির্ভর ভ্রমণ ট্যুরে বিনিয়োগ লাভজনক হতে পারে।
২৪টিরও বেশি ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান এবং শত শত প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক আকর্ষণ নিয়ে ইরান এমন এক গন্তব্য যেখানে ইতিহাসপ্রেমী, প্রকৃতিপ্রেমী ও দুঃসাহসী ভ্রমণকারীরা সমানভাবে আকৃষ্ট হন। পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে ইরানের ভৌগোলিক অবস্থান বিনিয়োগকারীদের জন্য আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশের দ্বারও খুলে দিতে পারে।
যদি আপনি এমন এক খাতে বিনিয়োগ করতে চান যা একদিকে লাভজনক, অন্যদিকে সামাজিক ও পরিবেশগত ইতিবাচক প্রভাব রাখে, তবে ইরানে ইকো-ট্যুরিজম নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ সুযোগ।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৬