ক্যান্সার ও সংক্রমণ রোধে কার্যকর ন্যানোকম্পোজিট উদ্ভাবন করল ইরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i152548-ক্যান্সার_ও_সংক্রমণ_রোধে_কার্যকর_ন্যানোকম্পোজিট_উদ্ভাবন_করল_ইরান
পার্সটুডে : ইরানি গবেষকদের একটি দল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের সাথে একত্রে এমন একটি ন্যানোকম্পোজিট নকশা করতে সক্ষম হয়েছেন যার ক্যান্সার-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই আবিষ্কার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন ও কার্যকরী ওষুধ উৎপাদনের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
(last modified 2025-10-01T12:43:43+00:00 )
অক্টোবর ০১, ২০২৫ ১৫:২৪ Asia/Dhaka
  • আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ইরানি দল উদ্ভাবন করল ন্যানোকম্পোজিট
    আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় ইরানি দল উদ্ভাবন করল ন্যানোকম্পোজিট

পার্সটুডে : ইরানি গবেষকদের একটি দল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের সাথে একত্রে এমন একটি ন্যানোকম্পোজিট নকশা করতে সক্ষম হয়েছেন যার ক্যান্সার-প্রতিরোধী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই আবিষ্কার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে নতুন ও কার্যকরী ওষুধ উৎপাদনের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার সংস্থা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব ইরানের দামগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দলের সাথে যৌথভাবে একটি নতুন পদার্থ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন যা বিভিন্ন রোগ, বিশেষত ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য কার্যকরী ওষুধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এই পদার্থটির নাম 'ন্যানোকম্পোজিট', যা অত্যন্ত সূক্ষ্ম কণা দিয়ে তৈরি এবং এর বিশেষ সংমিশ্রণের কারণে এটির উল্লেখযোগ্য চিকিৎসাগত বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

এই ন্যানোকম্পোজিটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলোর মধ্যে একটি হল- ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা অর্থাৎ, এটি সরাসরি অস্বাস্থ্যকর কোষগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং তাদের বৃদ্ধি রোধ করতে পারে। এই বৈশিষ্ট্যের কারণে ভবিষ্যতে ক্যান্সার-বিরোধী ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

এই পদার্থের দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল- এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো হল এমন পদার্থ যা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর পদার্থের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এই গুণের কারণে ন্যানোকম্পোজিট রোগ প্রতিরোধ এবং কোষগুলোর স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

এই পদার্থের তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল- এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। অর্থাৎ, এটি ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে এবং সংক্রমণের চিকিৎসায় কাজে লাগতে পারে।

এই বৈজ্ঞানিক অর্জন নতুন ও অত্যাধুনিক ওষুধ উৎপাদনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এবং এটি প্রমাণ করে যে, ইরানি গবেষকরা বৈশ্বিক সহযোগিতায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন। যদি পরবর্তী পরীক্ষাগুলোতেও এই পদার্থটি সফলভাবে কাজ করে, তবে ভবিষ্যতে এটি শিল্পোৎপাদনের পর্যায়ে যেতে পারে এবং বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি এমন একটি অর্জন যা শুধুমাত্র পদার্থ বিজ্ঞান ও ফার্মাসিউটিক্যাল রসায়নের অগ্রগতিতে সাহায্য করছে না, বরং নিকট ভবিষ্যতে ক্যান্সার-বিরোধী, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ওষুধ উদ্ভাবনের অনুপ্রেরণাও যোগাবে।#

পার্সটুডে/এমএআর/১