ইরানের পরমাণু বোমা হল 'আধিপত্যবাদকে না বলার ক্ষমতা': আরাকচি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i153402-ইরানের_পরমাণু_বোমা_হল_'আধিপত্যবাদকে_না_বলার_ক্ষমতা'_আরাকচি
পার্সটুডে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছেন, ইরানের প্রকৃত শক্তি হল সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এবং বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলোর 'আধিপত্যকে না বলার ক্ষমতা'।
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
অক্টোবর ২৬, ২০২৫ ১৩:৪৮ Asia/Dhaka
  • সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি
    সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি

পার্সটুডে: ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছেন, ইরানের প্রকৃত শক্তি হল সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এবং বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলোর 'আধিপত্যকে না বলার ক্ষমতা'।

সাইয়েদ আব্বাস আরাকচি ইহুদিবাদী ইসরাইলের ১২ দিনের আরোপিত যুদ্ধে ইরানিদের জাতীয় সংহতিকে একটি 'সামাজিক ও ঐতিহাসিক পুঁজি' বলে অভিহিত করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, এই যুদ্ধে ইরানিরা দেখিয়েছে- তারা জবরদস্তি ও হুমকির মুখে নীরব থাকে না — তারা প্রতিরোধ করে এবং নিজেদের অধিকারের বিষয়ে কখনো পিছু হটে না।

ইরানের স্টুডেন্ট নিউজ এজেন্সি (ইসনা)-এর বরাতে পার্সটুডে জানিয়েছে, আরাকচি বলেছেন, "ইরানের পারমাণবিক বোমা মানে হলো- বিশ্বশক্তিগুলোর 'আধিপত্যকে না বলার ক্ষমতা'।” তিনি স্পষ্ট করে বলেন, "ইরানের শক্তি পরমাণু অস্ত্রে নয়, বরং ইচ্ছাশক্তি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতায় নিহিত। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ এবং জাতির বৈধ অধিকারের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত। এটিই হল সেই স্বাধীনতা যা বিপ্লবের পর থেকে ইরান অর্জন করেছে।"

আরাকচি আরও বলেন, তেহরান ও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক “পরিচালনাযোগ্য, কিন্তু অবিশ্বাসে পরিপূর্ণ”। তিনি বলেন, কূটনীতির পথ তখনই কার্যকর হবে যখন এটি পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে গড়ে উঠবে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোর দিয়েছেন, “ইরান–আমেরিকা সম্পর্ক এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মানসিকতার কবলে রয়েছে, কিন্তু এটিকে পরিচালনা করা সম্ভব। যতদিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিকে ঊর্ধ্বতন দৃষ্টিভঙ্গিতে তাকাবে, ততদিন সমস্যা থেকেই যাবে। ইরানি জাতির সঙ্গে জোরজবরদস্তির ভাষায় কথা বলা যাবে না; কিন্তু সম্মান ও যুক্তির সঙ্গে কথা বললে একইভাবে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যাবে।”

আরাকচি স্পষ্ট করে বলেন, আমেরিকার সাথে আলোচনার ইরানের কোন ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নেই, কিন্তু এর মানে এই নয় যে, কূটনীতির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হবে; ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান পারস্পরিক সম্মান ও পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে যেকোন বুদ্ধিদীপ্ত সমাধানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ইরানের এই কূটনৈতিক আরও যোগ করেন, “ইরান তার জনগণের অধিকার থেকে কখনো সরে দাঁড়াবে না। জাতীয় মর্যাদা আমাদের জন্য 'রেড লাইন'। প্রতিরক্ষার প্রস্তুতিই শান্তির সর্বোত্তম নিশ্চয়তা; কারণ আমরা যদি প্রস্তুত না থাকি, তবে যুদ্ধ আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।”#

পার্সটুডে/এমএআর/২৬