ইরানি এক্স ব্যবহারকারীদের বার্তা: সন্ত্রাসীরা জ্ঞানের অগ্রগতি থামাতে পারে না
-
শহীদ মাজিদ শাহরিয়ারি
ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী শহীদ মাজিদ শাহরিয়ারির শাহাদাতবার্ষিকীতে সামাজিকমাধ্যম এক্স (টুইটার)-এর ইরানি ব্যবহারকারীরা বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলা ইরানের বৈজ্ঞানিক অগ্রযাত্রা থামাতে পারেনি, বরং আরও শক্তিশালী করেছে।
২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদিবাদী গোয়েন্দা সংস্থার হামলায় শহীদ হন মাজিদ শাহরিয়ারি। তিনি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী এবং দেশের বৈজ্ঞানিক সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরানি এক্স ব্যবহারকারীরা শাহরিয়ারির হত্যাকে 'ইরানের পারমাণবিক বিজ্ঞানীদের পথকে আরও এগিয়ে নেওয়ার শুরু' হিসেবে মনে করছেন।
মারিয়ম তেইমুরি নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “তিনি ইরানের ভবিষ্যতের জন্য লড়াই করেছিলেন, বৈজ্ঞানিক নিরাপত্তার জন্য জীবন দিয়েছেন।”
জয়নাব লিখেছেন, “তিনি ছিলেন কর্মঠ ও নিষ্ঠাবান মানুষ, তাই তাঁর নাম ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে।”
‘ফারজানা’ বলেছেন: “শহীদ হওয়া আমাদের বিজ্ঞানীদের পথের শেষ নয়; কারণ তাঁদের পথ এখনো চলমান।”
‘সালিমি’ একটি পোস্টে জোর দিয়ে লিখেছেন: “আমার মতে শহীদ শাহরিয়ারির সবচেয়ে সুন্দর সম্পদ হলো তাঁর ছাত্ররা—যারা আজ সেই একই পথ এগিয়ে নিচ্ছে। অর্থাৎ শাহরিয়ারি এখনো বেঁচে আছেন।”
‘আলিরেজা’ লিখেছেন: “শহীদ শাহরিয়ারি ছিলেন সেই প্রযুক্তিগত স্তম্ভ, যার ওপর দাঁড়িয়ে আজ ইরানের জ্বালানি নিরাপত্তা প্রকল্পগুলো পরিচালিত হচ্ছে।”
আরেক ইরানি ব্যবহারকারী মনে করেন: “ইরানে নতুন প্রজন্মের এক বিশাল অংশের জ্বালানি-ফিজিক্স গবেষক শহীদ শাহরিয়ারির বিদ্যালয়ের ছাত্র। শত্রু একজনকে হত্যা করেছে; কিন্তু তাঁর জায়গায় দাঁড়িয়েছে দশজন বিশেষজ্ঞ। সন্ত্রাস ইরানিদের বিজ্ঞান থামাতে পারে না—বরং আরও বাড়িয়ে দেয়।”
‘আরতাম’ লিখেছেন: “মাজিদ শাহরিয়ারির হত্যাকাণ্ড তাঁর শক্তির প্রমাণ—তাঁর পথচলার শেষ নয়।”
‘সালার’ বলেন: “শাহরিয়ারিকে হত্যা ছিল ইরানের অগ্রগতির ভয় থেকে জন্ম নেওয়া কাজ; শত্রু বুঝেছিল ইরানের ভবিষ্যৎ এই মেধাবীদের হাতে।”
‘শাবনাম’ লিখেছেন: “শহীদ শাহরিয়ারি হয়ে উঠেছিলেন এমন এক প্রজন্মের শিক্ষক, যারা আজ পরমাণু শিল্পের প্রধান শিরায় রক্ত সঞ্চালন করছে। তাঁর সৃষ্টি করা সম্পদ ছিল মানুষ—যন্ত্র নয়।”
‘হোলমা’ লিখেছেন: “আসল নায়করা সিনেমায় নয়, গবেষণাগারের নিঃশব্দ পরিবেশে জন্ম নেয়। সালাম শহীদ মাজিদ শাহরিয়ারিকে—এক উজ্জ্বল নক্ষত্র যিনি কখনো নিভে যাননি।”
শেষে ‘রেজা’ নামে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন: “শহীদ শাহরিয়ারি দেখিয়েছেন যে, বিজ্ঞান শুধু ভবিষ্যতের পথই উন্মুক্ত করে না, বরং একটি জাতির স্বাধীনতা ও মর্যাদারও রক্ষক। তাঁর শাহাদাত বিশ্বকে ঘোষণা করে দিয়েছে যে, এই দেশ কখনোই অগ্রগতি ও আত্মনির্ভরতার পথ থেকে পিছিয়ে যাবে না।”
পার্সটুডে/এমএআর/৩০