জাতিসংঘে ইরানি প্রতিনিধির বিরুদ্ধে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তেহরান
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i155254-জাতিসংঘে_ইরানি_প্রতিনিধির_বিরুদ্ধে_আমেরিকার_নিষেধাজ্ঞা_মানবাধিকারের_লঙ্ঘন_তেহরান
পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে মৌলিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন বলে মনে করে।
(last modified 2025-12-19T12:55:46+00:00 )
ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ ১৮:৫২ Asia/Dhaka
  • ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
    ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

পার্সটুডে-ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞাকে মৌলিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন বলে মনে করে।

পার্সটুডে আরও জানায়, নিউইয়র্কে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের মিশনের উপর চাপ প্রয়োগে মার্কিন অবৈধ পদক্ষেপের ধারাবাহিকতার পর, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে: এই আচরণ জাতিসংঘ দফতরের অবস্থানের একটি স্পষ্ট অপব্যবহার যা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের প্রতিনিধিদের হয়রানি করে ভয় দেখানোর জন্য একটি হুমকিমূলক বৈদেশিক নীতির হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে: ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক আগ্রাসন এবং ইরানি নাগরিকদের হত্যায় গণহত্যাকারী ইসরাইলের সাথে জড়িত থাকা, অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং জাতিসংঘের আতিথেয়তার সুযোগের অপব্যবহার-এই সবই একই সূত্রে গাঁথা। এটি নৈতিক নীতিমালা, আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের প্রতি মার্কিন সরকারের স্পষ্ট অবজ্ঞা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইরানি জনগণের প্রতি করুণা'র ভণ্ডামিপূর্ণ ছদ্মবেশে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই লঙ্ঘনগুলো ঢাকার চেষ্টাও প্রতারণামূলক এবং হাস্যকর।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও বলেছে: ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা এবং জাতিসংঘে তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা সরাসরি মৌলিক মানবাধিকার এবং কূটনৈতিক নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন। এই আচরণ জাতিসংঘের আতিথেয়তার অবস্থানের অপব্যবহারকে একটি হুমকিমূলক বৈদেশিক নীতির হাতিয়ার হিসেবে প্রদর্শন করে যাতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে তাদের প্রতিনিধিদের হয়রানি করে ভয় দেখানো যায়। জাতিসংঘের আতিথেয়তার বাধ্যবাধকতা মেনে চলা কোনও অনুগ্রহ নয় বরং ১৯৪৬ সালের সদর দপ্তর চুক্তির অধীনে একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।#

পার্সটুডে/এনএম/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন