রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত না করার সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপ: বিভাজনের ইঙ্গিত
https://parstoday.ir/bn/news/world-i155278-রাশিয়ার_সম্পদ_বাজেয়াপ্ত_না_করার_সিদ্ধান্ত_নিল_ইউরোপ_বিভাজনের_ইঙ্গিত
পার্সটুডে- ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধানের জন্য ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও, ইইউ নেতারা রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন এবং ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ অনুমোদন করে, অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এবং মস্কো-বিরোধী পদক্ষেপের পরিণতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
(last modified 2025-12-20T13:17:38+00:00 )
ডিসেম্বর ২০, ২০২৫ ১৫:৫১ Asia/Dhaka
  • • রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করল ইউরোপ
    • রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করল ইউরোপ

পার্সটুডে- ইউক্রেন যুদ্ধের দ্রুত সমাধানের জন্য ওয়াশিংটনের রাজনৈতিক চাপ সত্ত্বেও, ইইউ নেতারা রাশিয়ার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন এবং ৯০ বিলিয়ন ইউরো ঋণ অনুমোদন করে, অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা এবং মস্কো-বিরোধী পদক্ষেপের পরিণতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

ব্রাসেলে দীর্ঘ আলোচনার পর, ইউরোপীয় নেতারা রাশিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ২০০ বিলিয়ন ইউরোর হিমায়িত সম্পদকে লিভারেজ এবং অর্থের উৎস হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়ে একমত হতে পারেননি বরং তারা ইইউ বাজেট থেকে "যৌথ ঋণ" এর একটি কম ব্যয়বহুল সংস্করণের দিকে ঝুঁকেছেন। এই সিদ্ধান্ত থেকে বোঝা যায়, আইনি জটিলতা ও আর্থিক ঝুঁকি এবং মস্কোর প্রতিশোধমূলক প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ইউরোপ তাদের ঐক্য হারাচ্ছে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, রাশিয়ান সম্পদের সিংহভাগ ধারণকারী দেশ হিসেবে বেলজিয়াম আইনি দায়িত্ব ভাগাভাগির জন্য স্পষ্ট গ্যারান্টি দাবি করেছে এবং কিছু দেশ প্রকাশ্যে এই ধরনের পদক্ষেপের সুদূরপ্রসারী পরিণতি সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ভুর, রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণ পরিকল্পনাকে "ডুবন্ত জাহাজ" এর সাথে তুলনা করে, এই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ পরিত্যাগ করার যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন। এই অবস্থান থেকে রাশিয়ার মুখোমুখি হতে ইউরোপের বিরাট দুর্বলতা ফুটে উঠেছে।

যদিও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জের মতো কর্মকর্তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তকে ভ্লাদিমির পুতিনের কাছে একটি "স্পষ্ট বার্তা" হিসেবে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন তবে একই সাথে রুশ সম্পদ জব্দ করতে ব্যর্থতা ইউরোপের দুর্বলতার বার্তাও দিয়েছেন। অন্যদিকে, এই সিদ্ধান্তটি এমন এক সময়ে নেওয়া হয়েছে যখন ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুত যুদ্ধ সমাপ্তির চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং এ জল্পনা ছিল যে রাশিয়ান সম্পদ ভবিষ্যতে মার্কিন স্বার্থে আলোচনায় ব্যবহার করা যেতে পারে।

সংক্ষেপে, ব্রাসেলস শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের দাবিদার সত্ত্বেও, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যয়বহুল এবং ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করছে। যাইহোক রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অভ্যন্তরীণ বিভাজন এখন স্পষ্ট।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২০  

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন