ইরান সরকারের প্রতি এরদোগানের সমর্থন
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান বলেছেন, প্রতিবেশী ইরানের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা তার দেশের কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও বিচ্ছিন্ন কিছু সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানিকে ফোন করে এ সমর্থন ব্যক্ত করেন এরদোগান।
ফোনালাপে তিনি বলেন, ইরানের নিরাপত্তাকে তুরস্ক নিজের নিরাপত্তা মনে করে। সাম্প্রতিক বিক্ষোভ নিয়ে পশ্চিমা কিছু গণমাধ্যমের খবর এবং আমেরিকা ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের কয়েকজন কর্মকর্তার মন্তব্য সম্পর্কে এরদোগান বলেন, পশ্চিমা অপপ্রচার এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর “অত্যুক্তি, হস্তক্ষেপমূলক” বক্তব্য সম্পর্কে তার দেশ খুব ভালোভাবেই ধারণা রাখে।
টেলিফোনালাপে এরদোগান বলেন, ইরানের সঙ্গে ব্যাংকিংসহ সর্বাত্মক সম্পর্ক বাড়াতে তার দেশ আগ্রহী। এছাড়া, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তেহরান ও আংকারার মধ্যকার সহযোগিতার প্রশংসা করেন এরদোগান।
ফোনালাপে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি বলেন, তার দেশের জনগণ আইনি কাঠামোর ভেতরে থেকে প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে স্বাধীন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তা তার সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তবে যেকোনো রকমের বেআইনি সহিংসতার মুখে সরকার চুপ করে বসে থাকবে না।
ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট রুহানি রাজনীতি, নিরাপত্তা ও অর্থনীতিসহ নানা ক্ষেত্রে তেহরান এবং আংকারার মধ্যকার সহযোগিতার প্রশংসা করেন। এ অবস্থায় চলতি ২০১৮ সালে ইরান ও তুরস্ক সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি জোর দিয়ে বলেন, তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে ইরান দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দু দেশ সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সিরিয়া ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে বলেও হাসান রুহানি মন্তব্য করেন।
দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়া ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে গত বৃহস্পতিবার থেকে ইরানের কয়েকটি শহরে কিছু মানুষ মিছিল-সমাবেশ করেছেন। তবে বিচ্ছিন্ন সহিংসতায় কয়েকটি শহরে বেশ কিছু সরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি টুইটার পোস্ট দিয়েছেন।
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/৩