হঠাৎ করেই মাইক পম্পেও'র পশ্চিম এশিয়া সফর সমাপ্ত
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i67364-হঠাৎ_করেই_মাইক_পম্পেও'র_পশ্চিম_এশিয়া_সফর_সমাপ্ত
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পশ্চিম এশিয়া (মধ্যপ্রাচ্য) সফর হঠাৎ করেই শেষ হয়েছে। ৮ জানুয়ারিতে তিনি তাঁর সফর শুরু করেন এবং ওমানে যাবার পর কুয়েত সফরের কথা থাকলেও হঠাৎ করেই সফর শেষ করেছেন। তাঁর পরিবারের কারও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সফর শেষ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জানুয়ারি ১৫, ২০১৯ ১৯:০৪ Asia/Dhaka
  • মাইক পম্পেও
    মাইক পম্পেও

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর পশ্চিম এশিয়া (মধ্যপ্রাচ্য) সফর হঠাৎ করেই শেষ হয়েছে। ৮ জানুয়ারিতে তিনি তাঁর সফর শুরু করেন এবং ওমানে যাবার পর কুয়েত সফরের কথা থাকলেও হঠাৎ করেই সফর শেষ করেছেন। তাঁর পরিবারের কারও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সফর শেষ করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

পম্পেও'র এই মধ্যপ্রাচ্য সফরের উদ্দেশ্য ছিল অনেক। এসবের মধ্যে দুটি উদ্দেশ্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। একটি হলো ওয়াশিংটনের বর্তমান মধ্যপ্রাচ্য নীতি বিশেষ করে ট্রাম্পের দেয়া প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে এ অঞ্চলে তাদের মিত্রদের আস্থা অর্জন করা এবং অপরটি হলো পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের উপস্থিতিকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরা। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে এ অঞ্চলে আমেরিকার নীতিতে কোনো পরিবর্তন যে আসবে না সে বিষয়টি তুলে ধরতে চেয়েছেন।

এই সফরে পম্পেও চেষ্টা করেছেন কাতারের সঙ্গে সৌদিআরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব অপসারণ করতে। অবশ্য তাঁর ওই প্রচেষ্টা সফল হয় নি।

পম্পেওর ভাষায় 'ইরানি আগ্রাসন' থেকে মধ্যপ্রাচ্য এবং ইসরাইলকে আগের মতোই সুরক্ষা দিয়ে যাবে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের মিত্রদেশগুলো এ ব্যাপারে কতোটা উদ্বিগ্ন ছিল পম্পেও'র সফর থেকেই তা অনুমান করা যায়। মজার ব্যাপার হলো পম্পেও এসব দেশকে অবাস্তব আশা ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছে। জর্দান থেকে শুরু করে আরও সাতটি আরব দেশ সফর করার উদ্দেশ্যই ছিল ইরানের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ইরানকে প্রতিহত করতে হোয়াইট হাউজের নীতি মেনে চলতে রাজি করানো। মোটকথা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব কমানো বিশেষ করে সিরিয়া থেকে ইরান ও তাঁর মিত্রদের বের করানো।কিন্তু আমেরিকার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ নয়।এটা স্বয়ং আমেরিকাও জানে।

ইরানের বিরুদ্ধে আরব ন্যাটো গঠন করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই পম্পেও ইরান-ভীতি ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি ইরানের বিরুদ্ধে লড়তে কথিত আরব-ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকেই ব্যয়ভার বহন করতে হবে। এটা যেমন অসম্ভব তেমনি আরব দেশগুলোর মধ্যকার মতপার্থক্যও এই জোট গঠনের পথে বাধা।সুতরাং পোল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় দু'দিনের সম্মেলনে ইরানের বিরুদ্ধে সবার সম্মতি অর্জন সম্ভব হবে বলে মনে হয় না।

সর্বোপরি আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাবকে নেতিবাচক বলে মনে করলেও তাদের ইউরোপীয় মিত্ররা পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ইরানের ভূমিকাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/১৫    

খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন