ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: আমেরিকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডে নীরব থাকবে না ইরান
(last modified Wed, 08 Jan 2020 11:14:54 GMT )
জানুয়ারি ০৮, ২০২০ ১৭:১৪ Asia/Dhaka
  • ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: আমেরিকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডে নীরব থাকবে না ইরান

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি আজ খুব ভোরে ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি 'আইন আল-আসাদের' ওপর বহুসংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। আইআরজিসি'র কুদস্‌ ব্রিগেডের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে।

ইরাকে আমেরিকার 'বালাদ' বিমান ঘাঁটির পর 'আইন আল আসাদ' হচ্ছে দ্বিতীয় বৃহত্তম মার্কিন বিমান ঘাঁটি। এই ঘাঁটির ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কিছুদিন আগে বলেছিলেন, "বিপুল অর্থ ব্যয় করে এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম দিয়ে এই বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে। কোটি কোটি ডলার ব্যয়ে এ বিমান ঘাঁটি তৈরি করা হয়েছে এবং ইরাকিরা যদি আমাদের এ অর্থ  ফেরত না দেয় তাহলে এই ঘাঁটি ত্যাগ করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।" 

এদিকে, ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি আজ এক বিবৃতিতে বলেছে, শত্রুরা যদি আবারো উস্কানিমূলক তৎপরতা কিংবা আগ্রাসন চালানোর ধৃষ্টতা দেখায় তাহলে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কঠিন আঘাত হানা হবে। বিবৃতিতে আরো বলা হয় "ইরাকের এসব মার্কিন ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী সেনা সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে এবং তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে।" দখলদার ইসরাইলকে মার্কিন অপরাধযজ্ঞের শরীক উল্লেখ করে আইআরজিসি'র বিবৃতিতে মার্কিন জনগণকে উদ্দেশ্য করে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন সেনাদের প্রাণহানি ঠেকাতে আপনাদের উচিত পশ্চিম এশিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মার্কিন সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে ইরানের পাল্টা জবাব সম্পূর্ণ বৈধ এবং এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য তা খুবই জরুরি ছিল। আইআরজিসি’র সারুল্লাহ ঘাঁটির উপ-প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কাওসারি বলেছেন, "আমরা যেমন আগেও বলেছি, ইরান কখনো এমন কোনো কথা বলে না যা বাস্তবায়ন করতে পারে না।" আইআরজিসি'র প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেন সালামি কেরমান প্রদেশে শহীদ কাসেম সোলাইমানির জানাজা অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ইসলামি ইরান কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার কঠোর ও অনুশোচনাকারী জবাব দেবে।

ইরাক সরকারের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জেনারেল কাসেম সোলাইমানি গত শুক্রবার বাগদাদে পৌঁছার পরপরই মার্কিন হামলার শিকার হন। তার সঙ্গে ইরাকের হাশদ আশ-শাবি মিলিশিয়া বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবু মাহদি আল মোহান্দেসসহ আরো আট ব্যক্তি শহীদ হন।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সম্মিলিতভাবে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা রক্ষা করা প্রয়োজন। কোন একটি দেশ নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে আর অন্য দেশ অনিরাপদ থাকবে এমনটি আশা করা যায় না। আমেরিকার শত্রুতা, ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ইরান নীরব থাকতে পারে না। ইরান জাতিসংঘ মহাসচিব ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রধানের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছে, আমরা যুদ্ধ চাই না কিন্তু শত্রুর যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দিতেও কুণ্ঠাবোধ করব না।#     

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৮

ট্যাগ