খাদ্য ও ওষুধ আমদানির জন্য ব্যাংকিং লেনদেনের সমস্ত পথ আটকে দিয়েছে আমেরিকা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i77242-খাদ্য_ও_ওষুধ_আমদানির_জন্য_ব্যাংকিং_লেনদেনের_সমস্ত_পথ_আটকে_দিয়েছে_আমেরিকা
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, ওষুধ ও খাদ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত করতে আমেরিকা ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনের সমস্ত পথ আটকে দিয়েছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০২০ ১৬:০১ Asia/Dhaka
  • আব্বাস মুসাভি
    আব্বাস মুসাভি

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি বলেছেন, ওষুধ ও খাদ্য আমদানি বাধাগ্রস্ত করতে আমেরিকা ইরানের ব্যাংকিং লেনদেনের সমস্ত পথ আটকে দিয়েছে।

খাদ্য ও ওষুধের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে মার্কিন কর্মকর্তারা যে দাবি করছেন সে ব্যাপারে এক টুইটবার্তায় আব্বাস মুসাভি বলেছেন, বাস্তবে তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এবং আমেরিকার এ পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের নির্দেশের লঙ্ঘন। ইরানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ২০১৮ সালের ৩ অক্টোবর এক নির্দেশে ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকার ওষুধ, খাদ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। আদালতের নির্দেশ সত্বেও আমেরিকা ইরানে খাদ্য, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম আমদানিতে বাধা সৃষ্টি করছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধির চিকিৎসায় ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে। এমনকি আমেরিকা ইরানের জনগণের প্রাথমিক অধিকারকেও উপেক্ষা করছে যা কিনা মানবাধিকার আইন এবং আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতের নির্দেশের খেলাপ।

এ ব্যাপারে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি গতকাল 'বছরের সেরা বইয়ের পুরস্কার' বিতরণী অনুষ্ঠানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অমানবিক ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে আমেরিকা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

এ অবস্থায় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সুইস মানবাধিকার চ্যানেলের মাধ্যমে ইরানে ওষুধ পাঠানোর যে কথাবার্তা শোনা  যাচ্ছে তা আসলে প্রচারণা মাত্র। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালের ৮মে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে ওষুধ খাদ্যসহ সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপর ট্রাম্প ইরানের জনগণের প্রতি সমর্থন দেয়ার দাবি করে ইরানের জনগণকে না খেয়ে মারা হুমকি দেন। এমনকি তিনি ঐতিহ্যবাহী ও সংস্কৃতিবান ইরানি জাতিতে সন্ত্রাসী বলেও আখ্যায়িত করেন।

না খেতে দিয়ে মারার মতো এ সব অবমাননাকর বক্তব্য ও হুমকির মধ্য দিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানের জনগণের সাথে তার শত্রুতামূলক আচরণের বিষয়টি সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরলেন। কিন্তু ইরানের জনগণ এমন এক জাতি যারা কিনা মার্কিন চাপের কাছে আজ পর্যন্ত নতি স্বীকার করেনি এবং তারা আসন্ন ইসলামি বিপ্লবের ৪১তম বার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তবে 'আমরাও পারি' এমন বিপ্লবী শ্লোগান দিয়ে ইরানের জনগণ আমেরিকার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। ওষুধ ও খাদ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য এ শ্লোগান এখনো বহাল রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা সত্বেও এবং দেশীয় মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ইরান ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরিতে এখন অনেকটাই স্বয়ংসম্পূর্ণ। ইরান নিজেই এখন প্রয়োজনের ৯৭ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৬