করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সবচেয়ে কৃতিত্বের অধিকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য-কর্মীরা: সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i78970-করোনার_বিরুদ্ধে_যুদ্ধে_সবচেয়ে_কৃতিত্বের_অধিকারী_চিকিৎসক_ও_স্বাস্থ্য_কর্মীরা_সর্বোচ্চ_নেতা
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, তার দেশের জনগণ করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কঠিন পরীক্ষায় সাফল্য দেখিয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গৌরব ও কৃতিত্বের অধিকারী হচ্ছেন ইরানের চিকিৎসকগণ ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
এপ্রিল ১০, ২০২০ ১৭:৪১ Asia/Dhaka
  • ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী
    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, তার দেশের জনগণ করোনা ভাইরাস মোকাবেলার কঠিন পরীক্ষায় সাফল্য দেখিয়েছে তবে এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গৌরব ও কৃতিত্বের অধিকারী হচ্ছেন ইরানের চিকিৎসকগণ ও স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিবর্গ।

তিনি পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে টেলিভিশনে ইরানের জনগণের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলা এবং দুস্থ মানুষের সহায়তায় ইরানের জনগণের অংশগ্রহণকে বিস্ময়কর হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, মূল্যবান এসব তৎপরতা থেকে জনগণের মাঝে ইসলামি সংস্কৃতির প্রভাবের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর চিকিৎসক ও নার্সরা প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখ ফ্রন্টে যুদ্ধ করছে এবং সর্বস্তরের মানুষ সহমর্মিতা ও বন্ধুত্বের বার্তা নিয়ে এ যুদ্ধে এগিয়ে এসেছে। ইরানে করোনার দিনগুলো জনগণের মধ্যে ভালবাসা ও বন্ধুত্বের সুযোগ এনে দিয়েছে আর তা হচ্ছে বিপদের সময় একে অপরকে সহযোগিতা করতে কেউ ভোলে না। তাই ইরানে করোনা মোকাবেলায় দিনরাত সবাই পরিশ্রম করে যাচ্ছে। ইরানের যুব সমাজ, বিভিন্ন জিহাদি গ্রুপ, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, বিপ্লবী গার্ড বাহিনী ও সেনাবাহিনী জনসচেতনতা সৃষ্টি, অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ ও চিকিৎসকদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে যাতে যত দ্রুত সম্ভব করোনা কোভিড-১৯ ভাইরাসের থাবা থেকে ইরানের জনগণকে রক্ষা করা যায়। বিপুল পরিমাণে মাস্ক ও জীবাণু নাশক সামগ্রী ইরানের সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। ইরানের সেনাবাহিনী নিজস্ব উদ্যোগে ২০০০ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল নির্মাণ করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তার বাণীতে আমেরিকা ও ইউরোপের কোনো কোনো দেশে মাস্ক ও গ্লাবস সংকট, অস্ত্র কেনার জন্য দীর্ঘ লাইন, বয়স্ক ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা না দেয়া, করোনা আতঙ্কে আত্মহত্যার ঘটনার কথা উল্লেখ করে বলেছেন, এসব ঘটনা থেকে সভ্যতার দাবিদার পাশ্চাত্যের আসল চেহারা প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এসব আচরণ থেকে তাদের বস্তুবাদী মানসিকতা, স্বার্থপরতা ও সৃষ্টিকর্তা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পাশ্চাত্যের কোনো সরকার ও জনগণের আচরণ থেকে বোঝা যায়, পাশ্চাত্য সভ্যতা আসলে লোক দেখানো এবং বর্তমান অবস্থান খোদ পাশ্চাত্যের কোনো কোনো মহলের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। জার্মানির সিনেটর অ্যান্দ্রিয়াস গিসেল চীন থেকে যে দুই লাখ মাস্ক আসার কথা ছিল তা ছিনতাই হয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে এটাকে আধুনিক যুগের নব্য জলদস্যুতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি জার্মানির জন্য মাস্কের চালান ছিনতাইএর ঘটনায় আমেরিকার তীব্র সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বিশ্বের বর্তমান সংকটকালে তাদের উচিত হয়নি বর্বরতা দেখানো। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১০