‘আমেরিকার উসকানিমূলক তৎপরতার কঠোর জবাব দেয়া হবে’
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i79413-আমেরিকার_উসকানিমূলক_তৎপরতার_কঠোর_জবাব_দেয়া_হবে’
পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান। একইসঙ্গে তেহরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর যেকোনো বেআইনি ও উসকানিমূলক তৎপরতার কঠোর জবাব দেয়া হবে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ২৮, ২০২০ ০৫:১১ Asia/Dhaka
  • পারস্য উপসাগরে উসকানিমূলক তৎপরতায় জড়িত মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস পল হ্যামিলটনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে ইরানের গানবোট (গত ১৫ এপ্রিলে ছবি)
    পারস্য উপসাগরে উসকানিমূলক তৎপরতায় জড়িত মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস পল হ্যামিলটনের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে ইরানের গানবোট (গত ১৫ এপ্রিলে ছবি)

পারস্য উপসাগর, হরমুজ প্রণালি ও ওমান সাগরে মার্কিন সেনা উপস্থিতিকে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছে ইরান। একইসঙ্গে তেহরান হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, মার্কিন সন্ত্রাসী সেনাবাহিনীর যেকোনো বেআইনি ও উসকানিমূলক তৎপরতার কঠোর জবাব দেয়া হবে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফ গতকাল (সোমবার) এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাগরে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা বিধানের অজুহাতে আমেরিকার নেতৃত্বে কথিত নৌজোট গঠন করা ছিল একটি ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ যা পারস্য উপসাগরের শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিপন্ন করে তুলেছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমেরিকা এ অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করে কার্যত আইন লঙ্ঘন ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি করেছে। আমেরিকা যে তার অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী আচরণের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বিনষ্টের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে সে বিষয়টি ইরান আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে বহুবার তুলে ধরেছে।

ইরানের নৌসেনাদের টহল (ফাইল ছবি)

আমেরিকা ও তার মিত্রদের উদ্দেশ করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরানের অর্থনৈতিক অঞ্চলের পানিসীমা দিয়ে চলাফেরা করার সময় তাদেরকে আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি ইরানের আইনও মেনে চলতে হবে। সেইসঙ্গে তারা যেন কঠোরভাবে যেকোনো ধরনের উসকানিমূলক তৎপরতা পরিহার করে এবং ইরানের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা গল্প ফাঁদার চেষ্টা না করে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর ও হরমুজ প্রণালির প্রকৃত নিরাপত্তা সেদিন প্রতিষ্ঠিত হবে যেদিন বহিঃশক্তিগুলো এ অঞ্চলের পানিসীমা থেকে সরে যাবে এবং আঞ্চলিক দেশগুলো এখানকার নিরাপত্তা রক্ষার ভার গ্রহণ করবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইরান কখনোই কোনো স্থানে আগে যুদ্ধ শুরু করেনি তবে সব সময় বলে এসেছে, আগ্রাসনের শিকার হলে শত্রুকে অনুশোচনামূলক জবাব দেবে তেহরান।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।