ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ি, মসজিদ, বাগান ও বাজারের শহর কাশান
ইরানের ইসফাহান প্রদেশের অন্যতম প্রসিদ্ধ ও ঐতিহাসিক শহর কাশান। দুটি বড় পাহাড়ের পাদদেশে এই শহরটি অবস্থিত। এই শহরের বড় অংশজুড়ে রয়েছে মারানযাব ও দাশতে কাবীরের মতো মরুভূমি। যেখান থেকে খুব সহজেই সূর্যোদয় দেখা যায়।
কাশান শহরের কেন্দ্রে আছে ঐতিহ্যবাহী ঘরবাড়ি, মসজিদ ও বাজার। আর শহরের বাইরে গেলে দেখা যাবে লবণাক্ত পানির হ্রদ।
সাফাভি সম্রাটদের অবকাশ যাপন কেন্দ্র হিসেবে কাশানের ব্যাপক খ্যাতি রয়েছে। বিশেষ করে ‘বাগে ফিন’ বা ফিন গার্ডেন ইরানের বিখ্যাত বাগান যা কাশানে অবস্থিত। চমৎকার হ্রদবিশিষ্ট এ বাগানের ডিজাইন করেন শাহ আব্বাস।
সাফাভী আমলের পরে কাজার সম্রাটরাও কাশানের উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনে আত্মনিয়োগ করেন। এখানে রয়েছে ৭০০০ বছরের পুরাতন হ্রদ যা ‘চাশমে সোলায়মান’ বা সোলায়মান হ্রদ হিসেবে খ্যাত। এ বাগানেই আমীর কবির তাকী যান্দকে হত্যা করা হয়েছিল। বর্তমানে ইরানের শীর্ষ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি হলো তেহরানের আমীর কবির বিশ্ববিদ্যালয়।
১৭৭৮ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্প কাশানকে এবড়ো থেবড়ো করে দেয় এবং সাফাভি আমলের অধিকাংশ ইমারত ও ঐতিহাসিক নিদর্শন মাটির সাথে মিশে যায়। কিন্তু কাশানের অধিবাসীরা আবার কাশানকে বিনির্মাণ করেন যা পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয় ও উপভোগ্য। ১৮ শতক থেকে ১৯ শতকের কাজার শিল্পীদের হাতের ছোঁয়ায় কাশান নবরূপ লাভ করে।
কাশানের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে আগা বুযুর্গ মসজিদ (১৮ শতকে নির্মিত), আমেরি হাউস (১৯ শতক), জালালি কটেজ, বোরুযারদি হাউস (১৮ শতকে নির্মিত), আব্বাসি হাউস (১৮ শতক), তাবাতাবায়ি হাউস, আত্তারি হাউজ, সুলতান আমীরের মাযার, ৪০ দুখতারান দুর্গ, আবু লুলুয়ার মাযার (১১ শতক), ফিন গার্ডেন (১৫৯০ সালে নির্মিত), সুলতান আমির আহমদ গোসলখানা বা ফিন গোসলখানা, কাশান জামে মসজিদ, কাশান বাজার, মসজিদ ময়দান, তাবরিজিয়া মসজিদ প্রভৃতি।#
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।