রেডিও তেহরানের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
এক অনন্য বৈশিষ্ট্যের গণমাধ্যম রেডিও তেহরান
সেই শৈশব থেকে আজ অবধি রেডিও তেহরান সঙ্গী হয়ে আছে আপনজনের মতো। স্কুলে পড়ার সেই শৈশবের দিনগুলোতে বাড়িতে বাবার সঙ্গে রেডিও তেহরানের বাংলা খবর শুনতাম। সবার সঙ্গে রেডিও শোনা মানেই ছিল খবর ও নাটক শোনা। তখন ইরান ও ইরাকের যুদ্ধ চলছে। যুদ্ধের খবর ও একটু একটু করে বিশ্ব সম্বন্ধে জানা......সেই শুরু। এভাবেই মনের অজান্তে ইরানের প্রতি কৌতুহল বাড়ে। আর এই কৌতুহল-ই আকৃষ্ট করে রেডিও তেহরানকে।
ক্রমেই ইরানের ইসলামি বিপ্লবের রূপকার মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর জীবন, ব্যক্তিত্ব, নেতৃত্ব, জ্ঞান, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা আমাকে মুগ্ধ-আকৃষ্ট করে তোলে। এরই ফলশ্রুতিতে রেডিও তেহরানের গুণমুগ্ধ শ্রোতায় পরিণত হই।
একটি আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র তথা গণমাধ্যম হিসেবে যে সকল ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য আমার নজর কেড়েছে, তার কয়েকটা বিষয় নিম্নে আলোকপাত করলাম-
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনা:
‘খবরের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা’- রেডিও তেহরানের এই ট্যাগ লাইনের সাথে সাযুজ্য রেখে প্রতিনিয়ত বস্তুনিষ্ঠ ও তাজা সংবাদ আমাদের পরিবেশন করে চলেছে। শুধু এক পক্ষের নয়; দুই পক্ষের মতামত ও খবরকেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পরিবেশন করে। বর্তমান একপেশে নীতি ও সংবাদ মাধ্যমগুলোর কোন একটা পক্ষ অবলম্বন করার বিপরীত ঝোঁকে অবস্থান গ্রহণ করে চলে রেডিও তেহরান। বস্তুনিষ্ঠ ও সত্য খবরের তাই একমাত্র ভরসা রেডিও তেহরান। ‘খবরের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা’ এখন ফেসবুক, ওয়েব সাইট ও রেডিও-এর মাধ্যমে রেডিও তেহরান এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।
সমসাময়িক ঘটনাবলীর বিশ্লেষণ:
সারা বিশ্বে চলমান ঘটনাবলী নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ ও খবরের ভেতরের খবরকে আমাদের সামনে তুলে ধরে রেডিও তেহরান। অভিজ্ঞ ও দূরদর্শী সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে আমরা প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে সঠিক বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারি। সেই সাথে অনেক ঘটনার আগাম পূর্বাভাস ও জানা সম্ভব হয় এ সমস্ত বিশ্লেষণ থেকে। দেশীয় ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো অনেক বিষয় এড়িয়ে চলে বা একটা দৃষ্টিকোণ থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করে। সেখানে রেডিও তেহরান যেন আম আদমির মনের অনুভূতি প্রকাশ করে; তাদের হৃদয়ের আনন্দের কথা, আশঙ্কার কথা, আশার কথারই প্রতিধ্বনি শোনা যায় এ সমস্ত পর্যালোচনার মাধ্যমে।
ইরানকে জানা বোঝার মাধ্যম:
ইরানের শিল্প সংস্কৃতি, ভাষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, আচার-আচরণ, শিক্ষা, পর্যটন, বিনোদন, ধর্ম, প্রচলিত রীতিনীতি, রাজনীতি, কলা, সাহিত্য, প্রভৃতি নানা বিষয় জানার একমাত্র মাধ্যম হলো রেডিও তেহরান। রেডিও তেহরানের নানা বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সকল বিষয় সম্বন্ধে জানা বোঝা সম্ভব। সারা সপ্তাহের অনুষ্ঠান মালায় চোখ রাখলে দেখা যাবে, যে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনে সমৃদ্ধ এই সকল বিষয়। যার মাধ্যমে একটা বিদেশি বেতার কেন্দ্র হিসেবে সেই দেশের নানান বিষয় শ্রোতাদের কাছে তুলে ধরার যে প্রয়াস তা সার্থক হয়েছে। এই সকল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা ইরানকে জানা বোঝার মাধ্যম হিসেবে রেডিও তেহরান একটা আদর্শ গণমাধ্যম হিসেবে মনে করি।
আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর:
রেডিও তেহরান-এর অনুষ্ঠানমালায় বেশকিছু অনুষ্ঠান আছে, যার মাধ্যমে আমরা আদর্শ, নৈতিকতা, দিকনির্দেশনামূলক নানা প্রয়োজনীয় বিষয় জানতে পারি। যেমন ‘আদর্শ মানুষ গড়ার কৌশল’, ‘গল্প ও প্রবাদের গল্প’, ‘কুরআনের আলো’ এবং পূর্বের ‘আদর্শ পরিবার’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের দৈনন্দিন জীবনশৈলী ও জীবন-চর্যার পথ নির্দেশনা দান করে থাকে। আজকের শিশুকে আগামী দিনের ভবিষ্যৎ ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার যাবতীয় করণীয় নির্দেশনা আমরা লাভ করতে পারি এসকল অনুষ্ঠান থেকে। তাই রেডিও তেহরান আদর্শ মানুষ গড়তে করণীয় নির্দেশনা দান করে এক মহামূল্যবান পথ প্রদর্শক এর দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের দর্শন পৌঁছে দেবার মাধ্যম:
১৯৭৯ সালে ইরানের ২৫০০ বছরের রাজতন্ত্রের অবসান ঘটিয়ে সেখানে প্রথমবারের মতো ইসলামী রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করেন ইমাম খোমেনী (রহ.)। কিন্তু কোন জাদুবলে এটা সম্ভব হলো? ইমাম খোমেনীর নেতৃত্বের ধরণ প্রসঙ্গে মার্কিন অধ্যাপক হামিদ আলগার বলেছেন,-
"আধুনিক যুগের অনেক মুসলমান মনে করেন, দর্শন ও আধ্যাত্মবাদ অবাস্তব, সামাজিক ও রাজনৈতিক ভূমিকায় অপ্রযোজ্য এবং তা এমনি এক অবাস্তব জিনিস যার সাথে মুসলিম ও ইসলামী বিশ্বের বিরাজমান সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু আয়াতুল্লাহ খোমেনী এ ধারণাকে ভুল বলে প্রমাণ করেছে। বরং তাঁর কাজ এ দুটি ধারার মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়েছে। তিনি যে বিপ্লব করেছেন তা শুধু রাজনৈতিক ও কৌশলগত ব্যাপার ছিল না, আধ্যাত্মবাদের এক অন্তর্নিহিত শক্তির মাধ্যমেও তা নিখুঁত-নির্ভুলভাবে পরিচালিত হয়েছে।"
ইরানের ইসলামী বিপ্লবের এই দর্শনকে সারা বিশ্বে পৌঁছে দেবার গুরু দায়িত্ব পালন করে চলেছে রেডিও তেহরান। ইমামের প্রত্যেকটা বাণী ও চিরায়ত স্বরূপ উন্মোচন করে দিতে বদ্ধপরিকর রেডিও তেহরান।
ইমাম খোমেনী (রহ.) তার বাণীতে বলেন- "আমার বৃহত্তম কামনা হলো এই যে, ইরানের জনগণ জুলুমের থাবা থেকে নাজাত পাক, একটি স্বাধীন ও স্বনির্ভর দেশের অধিকারী হোক এবং এমন এক ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার অধিকারী হোক যেখানে ইসলামের নির্দেশ অনুযায়ী সকল মানুষের অধিকার মান্য করা হবে আর মানবিক উন্নতি, প্রগতি ও সৌভাগ্যের দিক দিয়ে সকল জাতিসমূহের আদর্শে পরিণত হবে।"
আজ ইসলামী বিপ্লবের ফসল স্বরূপ ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান মানবিক উন্নতি, প্রগতি ও সৌভাগ্যের অধিকারী হতে পেরেছে। অন্যরাও যাতে এর থেকে বঞ্চিত না থাকেন তার জন্যে দিকে দিকে ছড়িয়ে দেওয়ার মহৎ দায়িত্ব পালন করছে রেডিও তেহরান।
ইমাম খোমেনী (রহ.) এর বাণী, "ইসলাম ও ঈমানের শক্তিই জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং এ ঐক্য ও ঈমানের শক্তিই জনগণকে বিজয়ী করেছে",....... এর শ্বাশত রূপায়ণ আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ইরানের জমিনে; অচিরেই তার দর্শন ছড়িয়ে পড়েছে মধ্য প্রাচ্যের অন্যান্য অংশে।
ইসলাম ও দ্বীনি শিক্ষা:
"ইসলামের নূরানী চেহারাকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা উচিত। চেহারা তথা কুরআন ও সুন্নাহ ব্যাপক ও সার্বিকভাবে যে সুন্দর নয়নাভিরাম চেহারার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি তা ইসলাম বিরোধীদের চাপিয়ে দেয়া পর্দা ও অজ্ঞ বন্ধুদের বিকৃত ধারণার আড়াল থেকে আত্মপ্রকাশ করতে পারে তাহলে ইসলাম গোটা বিশ্বটাকেই জয় করতে সক্ষম হবে।"-- ইমাম খোমেনী (র.)
ইমামের এই বাণীর স্বার্থক রূপায়ণ করে চলেছে রেডিও তেহরান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কুরআন তেলাওয়াত ও তার ভাবার্থ প্রকাশের পাশাপাশি, ‘কুরআনের আলো’, ‘আসমাউল হুসনা’র মত মহামূল্যবান অনুষ্ঠান পৃথিবীর আর কোন বেতার প্রচার করে বলে আমার জানা নেই। রেডিও তেহরান ইসলাম ও দ্বীনি শিক্ষা ও দাওয়াতের যথার্থ দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নিম্নের বাণীর প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে এই বেতার বলে মনে করি।
"ইসলাম সর্বোত্তম জীবনাদর্শ। বিশ্বের সকল মতাদর্শের চেয়ে পবিত্রতম হচ্ছে ইসলাম। ইসলাম মানব জাতির জন্যে এসেছে, শুধু মুসলমানদের জন্যে নয়, ইরানের জন্যেই শুধু নয়। আম্বিয়ায়ে কেরাম সকল মানুষের জন্যেই নবুয়্যত পেয়েছেন। ইসলামের পয়গাম্বরও সকল মানুষের জন্যে এসেছেন। ইসলাম মানুষকে পরিশুদ্ধ করার জন্যে এসেছে। ইসলাম মানুষ গড়ার জীবনাদর্শ।"
মুসলিম উম্মাহর ঐক্য:
আজ সারা বিশ্বে মুসলমান দের মধ্যে মাজহাব গত অনৈক্যের কারণে মুসলমানরা অবহেলিত, লাঞ্ছিত, ও দুর্বলতার স্বীকার। জ্ঞান, গরিমা, সম্পদের প্রাচুর্যে ভরপুর এ জাতির কাছে রয়েছে মহান আল্লাহর দিক নির্দেশনা পবিত্র কুরআন ও রাসূল (সা.) এর জীবন বিধান। এ সকল সম্পদ থাকা সত্বেও তারা পরস্পর বিচ্ছিন্ন। অথচ উচিত ছিল- ‘মুসলমানরা যারা ইসলামকে মেনে নিয়েছে তারা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে সকলের উচিত আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে কুরআনের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ থাকা। এটা সকলের জন্য ওয়াজিব।‘ -ইমাম খোমেনী (রহ.)
প্রতিনিয়ত মুসলিম উম্মাহর ঐক্য নিয়ে নানা সময়ে রেডিও তেহরানের পরিবেশনা, বিশ্লেষণ ও আলোচনায় এ বিষয়টিকে গুরুত্ব প্রদান করে। এর সাথে ঐক্য সম্পর্কিত কুরআন ও হাদীসের আলোকে পর্যালোচনা ও ইমাম খোমেনী (রহ.) অসিয়তনামায় বার বার ফিরে আসে উম্মাহর ঐক্য। এ বিষয়ে ইমামের একটি বহুল প্রচলিত বাণী- "ইসলামী মাযহাবগুলোর মাঝে মতানৈক্য সৃষ্টির পরিকল্পনা একটি মারাত্মক অপরাধ, আর এই অপরাধের স্রষ্টা হলো তারাই যেসব পরাশক্তি ওই মতপার্থক্য থেকে ফায়দা হাসিল করে। তারাই এই মতানৈক্যের বীজ মুসলমানদের মাঝে বপন করেছে এবং নিয়মিত তার গোড়ায় পানি ঢেলে পরিচর্যা করে যাচ্ছে। যারা এই বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করতে চায় তারা না আহলে সুন্নাতের না আহলে শিয়ার অন্তর্ভুক্ত। তারা হলো পরাশক্তিগুলোর মদদপুষ্ট সরকারের কর্মকর্তা।"
প্রতিনিয়ত রেডিও তেহরান এ সকল বাণী প্রচারের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচনের গুরু দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
মজলুম মানুষের কণ্ঠস্বর:
মরহুম ইমাম খোমেনী (রহ.) যেকোনো জালিম শক্তির বিরুদ্ধে মজলুম জাতির লড়াই বা আন্দোলনকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেন। ইমাম বলেছিলেন "যতদিন পর্যন্ত না 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ'- এ বাণী সমগ্র পৃথিবীতে ধ্বনিত হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে, পৃথিবীর যেখানেই জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের সংগ্রাম সেখানেই আমরা আছি।"
মজলুম মুসলমানদের কণ্ঠস্বর ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী প্রচার মাধ্যম হিসেবে আমার প্রিয় বেতার কেন্দ্র রেডিও তেহরান। দিনের পর দিন প্যালেস্টাইনের মজলুম মুসলিম জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে বিরাজ করছে রেডিও তেহরান। এছাড়াও সম্প্রতি মিয়ানমার, ইয়েমেনের মজলুম জনতার পাশে দাঁড়িয়েছে এ বেতার। সেখানকার প্রকৃত সংবাদ পরিবেশনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে দেখেছি রেডিও তেহরানকে।
সাম্রাজ্যবাদবিরোধী প্রচার মাধ্যম:
‘…. প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিশ্ব শোষকদের জন্য প্রধান ভীতির কারণ হচ্ছে ইসলাম। কেননা, ইসলামই হচ্ছে এমন শক্তি যা দুনিয়ার মুসলমানদেরকে তাওহীদের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করতে সক্ষম। ইসলামই পারে মুসলিম দেশসমূহ ও দুনিয়ার বঞ্চিত মানুষের উপর থেকে বিশ্ব অপরাধীদের হস্তকে ধ্বংস করতে।" ইমাম খোমেনী (রহ.) এই বাণীর আলোকে বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের মুখোশ উন্মোচনে এই বেতার কেন্দ্র দীর্ঘদিন ধরে অনস্বীকার্য ভূমিকা পালন করে চলেছে। বিশ্বের যেখানেই সাম্রাজ্যবাদের করাল গ্রাস পড়েছে; সেখানেই বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে উদিত হয়েছে রেডিও তেহরান। সাম্রাজ্যবাদীদের অশুভ শক্তির মোকাবেলায় এ বেতারের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
শ্রোতার মতামতকে তুলে ধরার মাধ্যম:
শ্রোতাদের মতামত ও মূল্যায়ন কে যথাযথ মর্যাদা দেয় রেডিও তেহরান। একটা গণমাধ্যমের মূল প্রাণ তার শ্রোতা পাঠক। তাদের ফিডব্যাক ও মতামতের ভিত্তিতে ভুল ত্রুটি সংশোধন ও মরিমার্জন- সংযোজনে পূর্ণতা লাভ করে অনুষ্ঠানের। তাছাড়া একজন শ্রোতা হিসেবে নিজের মতামতকে তুলে ধরার মাধ্যম হিসেবে রেডিও তেহরান এক অমূল্য প্লাটফর্ম। ‘প্রিয়জন' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরাও আমাদের মনোভাবকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছি দীর্ঘদিন ধরে। উপস্থাপকদের সুললিত ও মুগ্ধ কণ্ঠে এসব মতামতপূর্ণ চিঠির ভাষা পৌঁছে যায় হাজার হাজার শ্রোতার কাছে।
রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান এর সাথে ‘পার্সটুডে’ ওয়েবসাইট রয়েছে হাতের কাছেই, হাতের মুঠোই!! যখন ইচ্ছে ঢু মারুন, আর ঢুকে যান তথ্যের সমুদ্রে; আহরণ করুন আপনার পছন্দের তথ্যাবলী। সেই শৈশব থেকে রেডিও’র যুগ পেরিয়ে এই ডিজিট্যাল যুগেও রেডিও তেহরানের সাথেই রয়েছি। আজ রেডিও তেহরান ৪০ বছরের পরিণত একটি গণমাধ্যম; আর আমিও পরিণত একজন শুভাকাঙ্ক্ষী। এখনও ফেসবুক ও ওয়েব পেইজে ঢুঁ মারি নিয়মিত; আঙুলের স্পর্শে নিংড়ে নিই বর্তমানের ‘পার্সটুডে’কে। আরো ১০০ বছর এভাবেই নীরব- স্পর্শে, শুভাকাঙ্ক্ষী হয়ে থাকতে চায় রেডিও তেহরানের সঙ্গে।
এস এম নাজিমুদ্দিন
মুর্শিদাবাদ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৬