'মহানবী (সা.)’র আহলে বাইতকে জানা ও অনুসরণ করা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য'
(last modified Sun, 17 Jul 2022 13:41:25 GMT )
জুলাই ১৭, ২০২২ ১৯:৪১ Asia/Dhaka
  • 'মহানবী (সা.)’র আহলে বাইতকে জানা ও অনুসরণ করা অবশ্যপালনীয় কর্তব্য'

আসসালামু আলাইকুম, আশা ও প্রার্থনা করি রেডিও তেহরান পরিবারের আপনারা সবাই ভালো ও সুস্থ আছেন। গত ১৫ই জুলাই, ২০২২ ইমাম আলী নাকি (আ.)'র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানটি উপভোগ করলাম।

ইমাম নাকী বা হাদী (আ.) এর জন্ম হয়েছিল ২১২ হিজরির ১৫ ই জিলহজ বা খৃষ্টীয় ৮২৮ সালে পবিত্র মদীনার উপকণ্ঠে। বিশ্বনবী (সা.)’র আহলে বাইতের ধারায় তিনি ছিলেন দশম ইমাম।

অনুষ্ঠানে আমরা এটা জেনে বিস্মিত হয়েছি যে, ইসলাম তার প্রকৃত রূপকে যথাযথভাবে তুলে ধরার জন্য এই আহলে বাইত (আ.)’র কাছে চিরঋণী। মহত্ত্ব আর সর্বোত্তম মানবীয় সব গুণ ছিল তাঁর ভূষণ। ক্ষমতাসীন আব্বাসীয় শাসকরা আহলে বাইতের প্রত্যেক সদস্যকে জন-বিচ্ছিন্ন করে রাখতো যাতে তাঁদের বিপুল জনপ্রিয়তা সরকারের জন্য পতনের কারণ না হয়।

ইমাম হাদী (আ.)'র ওপরও তেমনই নানা ধরনের নির্যাতন নেমে এসেছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি জালিম ও শাসকগোষ্ঠীর অন্যায়ের কাছে কখনই মাথা নত করেননি। যার ফলে ভীত-সন্ত্রস্ত আব্বাসীয় সরকার ২৫৪ হিজরির তেসরা রজব ৪১ বছর বয়সে ইমাম হাদী (আ.)কে বিষ প্রয়োগে শহীদ করে। আর আমরাও এক মহান আরেফ ও ইসলামের ব্যক্তিত্ব কে হারায়!

মহানবী (সা.)’র পবিত্র বংশধরগণ হলেন মহানবী (সা.)র পর মুসলমানদের প্রধান পথ প্রদর্শক। ইসলাম ও আল্লাহর অফুরন্ত আলোকধারাকে ছড়িয়ে দিয়ে মানবজাতিকে অজ্ঞতার আঁধার থেকে মুক্ত করেছেন; রেখে গেছেন জ্ঞান-প্রদীপ্ত খাঁটি মুহাম্মদী ইসলামের গৌরবোজ্জ্বল আদর্শ।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন, "আমি তোমাদের জন্যে অতি মূল্যবান বা ভারী ও সম্মানিত দুটি জিনিষ রেখে যাচ্ছি; একটি হল আল্লাহর কিতাব ও অপরটি হল আমার আহলে বাইত। অতঃপর নিশ্চয়ই এ দুটি জিনিস হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না।"

অনুষ্ঠানের মূল্যবান প্রাপ্তি হলো, মহানবী (সা.)’র পবিত্র আহলে বাইতের সদস্যদের জানা এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্যে অবশ্য পালনীয় কর্তব্য।

পর্যায়ক্রমে প্রথম ইমাম থেকে বারো ইমাম পর্যন্ত সকলের জীবন সংগ্রাম, আত্মত্যাগ ও ইসলামের ইতিহাসে তাঁদের ভূমিকা নিয়ে ধারাবাহিক একটি অনুষ্ঠান শুরু করা যেতে পারে। তাহলে আমরা সকল ইমাম গণের কর্মজীবন, তাঁদের ইসলামের জন্যে ত্যাগ ও ইসলাম পুনরুজ্জীবনে তাঁদের ভূমিকা সম্বন্ধে জানতে পারব। আশা করি তাঁদের জীবনী আমাদের জন্যে পাথেয় হবে।

মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বিশ্বনবী (সা.)'র পবিত্র আহলে বাইতের অনুসারী হওয়া তৌফিক দান করুন। আমিন........

 

শুভেচ্ছান্তে,-

এস এম নাজিম উদ্দিন

মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বঙ্গ, ভারত।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ