শ্রোতাদের মতামত
'বিপ্লবের প্রতি ইরানিদের অবিচল আনুগত্য আমাদের মনকে উৎফুল্ল করে'
মহোদয়, পত্রের প্রথমেই আমার আন্তরিক প্রীতিময় শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি আল্লাহর রহমতে সকলে কুশলে আছেন। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের ৪৫তম বিজয়-বার্ষিকীর প্রাক্কালে ইরানের সর্বস্তরের কোটি কোটি জনগণের প্রতি আমার আন্তরিকতাপূর্ণ সমর্থন জানাই।
মহান বিপ্লবের প্রতি ইরানিদের সমর্থন এবং অবিচল আনুগত্য ও অঙ্গীকারবদ্ধতা আমাদের মনকে উৎফুল্ল করে। তাই ইসলামী বিপ্লবের ৪৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইরানের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা ও সালাম জানাই।
১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ইমাম খোমেনী (রহ.)’র নেতৃত্বে মার্কিন তাবেদার স্বৈরশাসক রেজা শাহ পাহলাভি সরকারের পতন ঘটিয়ে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ী হয়েছিল। মার্কিন মদদপুষ্ট স্বৈরতান্ত্রিক শাহ সরকারের চূড়ান্ত পতনের মধ্য দিয়ে ইরানে প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন রাজতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটে এবং ইসলাম ধর্ম-ভিত্তিক জনগণের শাসন-ব্যবস্থা চালু হয়। সেই থেকে প্রতি বছরই 'ইয়ামুল্লাহ' বা 'আল্লাহর দিবস' হিসেবে ঘোষিত এই দিবস পালন করে আসছে ইরানি জাতি।
ইরানের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত শ্লোগান 'ধ্বংস হোক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ' ও 'ধ্বংস হোক ইসরাইল' আর সেটাই ইসলামের বিজয়ী।
এই দিন ইরানের জনগণ সারা বিশ্বের রক্তচক্ষু উপক্ষো করে নতুন করে বিপ্লব রক্ষার শপথ নেন। মার্কিন কর্মকর্তাদের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতস্ফূর্ততা প্রমান করে ইরানিরা যেকোনো হুমকির উপযুক্ত জবাব দিতে প্রস্তুত।
প্রকৃতপক্ষে, ইরানের জনগণ দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধভাবে এ পর্যন্ত আমেরিকা ও তার মিত্রদের সব ষড়যন্ত্র ও বাধা মোকাবেলা করে এসেছে এবং আগামীতেও বিজয়ের এ ধারা অব্যাহত রাখবে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লব এক নতুন ইসলামী সভ্যতার ভিত্তি গড়ে তুলছে। আশাকরি আগামীতেও মহান আল্লাহর ইচ্ছায় তা শোষণ-পীড়ন, উপনিবেশবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও বলদর্পিতার কবর রচনা করবে।
সবশেষে রেডিও তেহরান বাংলা পরিবারের সকলের প্রতি একরাশ প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি।
মহ: হাফিজুর রহমান
চুপী মিলন সংঘ
গ্রাম ও পোস্ট: চুপী
ভায়া: পূর্বস্থলী, জেলা: বর্ধমান
পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।