'যেসব কারণে রেডিও তেহরান শ্রোতাবান্ধব বেতারে পরিণত হয়েছে'
https://parstoday.ir/bn/news/letter-i84579
প্রিয় মহোদয়, আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরান সম্প্রতি অতিদ্রুত শ্রোতাবান্ধব একটি আন্তর্জাতিক বেতারে পরিণত হয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র শ্রোতাদের সাথে যোগযোগ কমিয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে, অনুষ্ঠান হ্রাস করছে, সেখানে রেডিও তেহরান শ্রোতাদেরকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শ্রোতাদের সাথে ইন্টারেকশান বাড়িয়ে দিয়েছে।
(last modified 2025-08-13T13:01:58+00:00 )
নভেম্বর ১২, ২০২০ ১১:১৯ Asia/Dhaka
  • 'যেসব কারণে রেডিও তেহরান শ্রোতাবান্ধব বেতারে পরিণত হয়েছে'

প্রিয় মহোদয়, আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানবেন। রেডিও তেহরান সম্প্রতি অতিদ্রুত শ্রোতাবান্ধব একটি আন্তর্জাতিক বেতারে পরিণত হয়েছে। গেল কয়েক বছর ধরে যেখানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র শ্রোতাদের সাথে যোগযোগ কমিয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে, অনুষ্ঠান হ্রাস করছে, সেখানে রেডিও তেহরান শ্রোতাদেরকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে শ্রোতাদের সাথে ইন্টারেকশান বাড়িয়ে দিয়েছে।

এর ফলে দিনকে দিন রেডিও তেহরানের শ্রোতা সংখ্যা বেড়েই চলছে। কিভাবে শ্রোতাদের সাথে রেডিও তেহরানের সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে, আজকের চিঠিতে তার কয়েকটি নমুনা তুলে ধরতে চাই।

প্রথমত: রেডিও তেহরান গত জুন, ২০২০ মাস থেকে শ্রোতাদের জন্যে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা চালু করেছে। শুধু তাই নয়, কুইজ প্রতিযোগিতায় প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী তিনজনকে পুরস্কার দেয়ার কথা থাকলেও রেডিও তেহরান দিচ্ছে পাঁচজনকে। একেতো কুইজ প্রতিযোগিতার কারণে রেডিও তেহরানের প্রতি শ্রোতাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার উপর পাঁচজনকে পুরস্কার দেয়ায় এ আগ্রহ আরো বেশি বেড়েছে। ফলে কুইজ প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি রেডিও তেহরানের শ্রোতা সংখ্যাও বেড়ে চলছে।

দ্বিতীয়ত: মাসিক ও বাৎসরিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা পুরস্কার প্রদান। শ্রোতাদের পারফরমেন্স অর্থাৎ রেডিও তেহরানে চিঠিপত্র, মতামত, পরামর্শ, রিসেপশন রিপোর্ট, প্রশ্ন, অনুরোধ ইত্যাদি এবং ওয়েবসাইট ভিজিট, ফেসবুক গ্রুপ, ফেসবুক পেইজ ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে যুক্ত ও সক্রিয় থাকা- প্রভৃতি মাসিক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ‘মাসিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা পুরস্কার’ এবং বাৎসরিক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ‘বার্ষিক শ্রেষ্ঠ শ্রোতা পুরস্কার’ দেয়া হয়। ফলে এসব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার প্রত্যাশায় শ্রোতারা এখন সারা মাস, এমনকি সারা বছর সক্রিয় থাকছেন। ফলে শ্রোতাদের সাথে রেডিও তেহরানের ইন্টারেকশান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে শ্রোতারা রেডিও তেহরানের সাথে আরো ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন, আর নানা পরামর্শ পেয়ে রেডিও তেহরানও অনুষ্ঠানের মানোন্নয়নে স্বচেষ্ট হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।

তৃতীয়ত: শ্রোতাদের মতামত বিভাগ চালু করা। রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইট পার্সটুডে-তে গত সেপ্টেম্বর, ২০২০ মাস থেকে ‘শ্রোতাদের মতামত’ নামে একটি নতুন বিভাগ চালু করা হয়। যেহেতু সম্প্রতি রেডিও তেহরানে শ্রোতারা আগের চেয়ে বেশি বেশি চিঠি লিখছেন, তাই সব চিঠি রেডিও অনুষ্ঠান ‘প্রিয়জন’-এ প্রচার করা সম্ভব হচ্ছিল না। এমতাবস্থায় ওয়েবসাইটে ‘শ্রোতাদের মতামত’ বিভাগ চালু করে গুরুত্বপূর্ণ চিঠিগুলো সেখানে প্রকাশের ব্যবস্থা করে বাংলা বিভাগ দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। তড়িৎ এমন সুন্দর উদ্যোগ নেয়ার জন্যে কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। এখন এ বিভাগটা পার্সটুডে’র জনপ্রিয় একটি পেইজে পরিণত হয়েছে। গত সোয়া দুই মাসে এ বিভাগে শোতাদের অর্ধশতাধিক চিঠি প্রকাশিত হয়েছে। এ থেকেই বুঝা যায়, শ্রোতারা কত বেশি বেশি চিঠি লিখছেন। রেডিও তেহরান সম্পর্কে কোন্‌ শ্রোতা কী ভাবছেন, তা জানার জন্যে আমরাও নিয়মিত এ পেইজটি ভিজিট করি।

সর্বোপরি রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের জনাব আশরাফুর রহমান সাহেব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত শ্রোতাদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন, তাদের প্রশ্নের তাৎক্ষণিক জবাব দিচ্ছেন, তাদের অনুরোধে ইতিবাচকভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তথ্য দিচ্ছেন। আমি মনে করি, তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের কারণে অনেক শ্রোতা আবার রেডিও তেহরান শুনতে অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তাঁর ব্যক্তিগত যোগাযোগের ফলে একদিনে পুরাতন শ্রোতারা আবার অনুষ্ঠান শোনায় ফিরে এসেছেন, অন্যদিকে নতুন নতুন শ্রোতাও সৃষ্টি হয়েছে।

চিঠির শেষে বলতে চাই, রেডিও তেহরান ডিএক্সার ও শ্রোতাদের মধ্যে নবজাগরণের সৃষ্টি করেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকুক, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।     

       

ধন্যবাদান্তে,

মোঃ শাহাদত হোসেন

সহকারী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ

গুরুদয়াল সরকারি কলেজ, কিশোরগঞ্জ, বাংলাদেশ।

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১২