গাজার ঘটনাবলী কি শেষ জমানার লক্ষণ?
-
• গাজার ধ্বংসযজ্ঞের একটি ছবি
পার্সটুডে - পৃথিবীর শেষ জমানার বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করে এবং গাজার বর্তমান অবস্থার সাথে তুলনা করে, ইরানের ইমাম মাহদি বিষয়ক একজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন: গাজায় ইসরাইলের অনাচার, দুর্ভিক্ষ এবং যুদ্ধসহ আরো কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে, তবে বর্ণনাগুলোতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে ইমাম মাহদির আবির্ভাব তখনই ঘটবে যখন পুরো বিশ্ব দুর্নীতিতে ডুবে থাকবে।
ইরানের ইমাম মাহদি বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ হুজ্জাতুল ইসলাম ইউসুফী রস্তগু বলেছেন: গাজায় ইসরাইলের অনাচার, দুর্ভিক্ষ এবং যুদ্ধসহ অনেক লক্ষণ ফুটে উঠেছে, তবে বর্ণনাগুলিতে জোর দেওয়া হয়েছে যে বিশ্বের শেষ জামানায় প্রতিশ্রুত ইমাম মাহদির আবির্ভাব তখন ঘটবে যখন পুরো বিশ্ব দুর্নীতিতে ডুবে থাকবে। অতএব, গাজার ঘটনাবলী ইমাম মাহদির আগমনের পথ প্রশস্ত করতে পারে, তবে তাঁর আগমনের সঠিক সময় সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
পার্সটুডে'র মতে, হুজ্জাতুল ইসলাম ইউসুফী রস্তগু "ইকনা"-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেন: গাজায়, ইহুদিবাদী ইসরাইলের দখলদারিত্ব তাদের আধিপত্যের স্পষ্ট উদাহরণ; বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা, ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং খাদ্য অবরোধের ফলে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে।
ইউসুফি বলেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে মুমিনদের কর্তব্য হল সৎকাজের আদেশ দেওয়া এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা, গাজার অপরাধযজ্ঞের ঘটনা প্রকাশ করা এবং ইসরাইলি নিপীড়নের ঘটনাকে স্বাভাবিকীকরণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো এবং ইমাম মাহদির জন্য অপেক্ষার চেতনাকে শক্তিশালী করা। ইমাম সাদিক (আ.) বলেন: সৎকর্মের মাধ্যমে ইমাম মাহদির আবির্ভাবের পথ প্রশস্ত করা উচিত।
ইরানের ইমাম মাহদি বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ জোর দিয়ে বলেন: আজ গাজার পরিস্থিতি শেষ জামানার লক্ষণ। এ ছাড়া, বিশ্বব্যাপী জুলুম নির্যাতন এবং পদ্ধতিগত দুর্নীতিও আরো কিছু লক্ষণ। তবে, এই ঘটনাগুলো এখনই ইমামের আবির্ভাবের ইঙ্গিত দেয় না, বরং তা মুসলমানদের প্রস্তুত থাকার এবং মানুষের নিজের কর্তব্য পালন করার জন্য একটি সতর্কীকরণ। বর্ণনায় যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, পৃথিবী যখন অন্ধকারের চরমে নিমজ্জিত হবে, তখনই ইমাম মাহদির আবির্ভাব ঘটবে এবং সেই সময়, "সত্য আসবে এবং মিথ্যা ধ্বংস হবে।#
পার্সটুডে/এমআরএইচ/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।