ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডকে সংযোগকারী সেতুর ওপর সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে নয় জনকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়া।
ক্রিমিয়া সেতুতে হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে রাশিয়া। রুশ ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস বা এফএসবি দাবি করেছে, ইউক্রেনের প্রধান গোয়ন্দা বিভাগ এই হামলার সঙ্গে জড়িত।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন: ইউক্রেনের সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে রাশিয়ার জবাব অব্যাহত রয়েছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশ থেকে ক্রিমিয়া যাওয়ার সংযোগ সেতুতে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে ইউক্রেনের বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী। তিনি আরো বলেছেন, রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস করার হীন উদ্দেশ্যে ইউক্রেন এই সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে।
রাশিয়ার ক্রিমিয়া ব্রিজের ওপর ট্রাক বোমা বিস্ফোরণের পর সেতুর কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও তা আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। গতকাল (শনিবার) দিনের প্রথম দিকে সেতুটি নতুন করে চালু করা হয় এবং রেললাইন গতকাল সন্ধ্যা নাগাদ চালু হওয়ার কথা ছিল।
ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডের সাথে সংযোগকারী সেতুতে ট্রাক বিস্ফোরণের ফলে সেতুর অংশবিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার ন্যাশনাল এন্টি-টেরিজম কমিটি আজ (শনিবার) এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চলকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া সর্বসম্মত রায়ে অনুমোদন করেছে রাশিয়ার সংসদের নিম্নকক্ষ দুমা। গত সপ্তাহে ওই চার অঞ্চলে অনুষ্ঠিত গণভোটের জের ধরে এক ডিক্রি জারি করে আনুষ্ঠানিকভাবে অঞ্চলগুলোকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করে নেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের চার অঞ্চলের জনগণ রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হওয়ার পক্ষে ব্যাপকভাবে ভোট দেয়ার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার যেকোনো সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন।
কের্চ শহরের কাছে ক্রিমিয়া ব্রিজের নিরাপত্তার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। কয়েকদিন আগে ইউক্রেন এই ব্রিজ ধ্বংসের হুমকি দিয়েছে।
ক্রিমিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের দীর্ঘতম সেতু উড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির প্রধান সহযোগী মিখাইল পোদোলিয়াক গতকাল (মঙ্গলবার) এ হুমকি দেন।