মধ্যপ্রাচ্যে ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের গুণ্ডামির দিন শেষ: হামাস
(last modified 2022-07-28T03:05:40+00:00 )
জুলাই ২৮, ২০২২ ০৯:০৫ Asia/Dhaka
  • তেহরানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিনিধি খালিদ কোদ্দুমি
    তেহরানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিনিধি খালিদ কোদ্দুমি

বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তি মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের অচলাবস্থার সম্মুখীন হয়েছে এবং এ অঞ্চল ত্যাগ করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই। একথা বলেছেন তেহরানে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিনিধি খালিদ কোদ্দুমি।

তিনি বুধবার তেহরানে ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ অক্ষ’ শীর্ষক সম্মেলনে দেয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন। ইরানের পশ্চিম সীমান্তে সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এদেশের সেনাবাহিনীর ঐতিহাসিক অভিযানের বার্ষিকীতে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে কোদ্দুমি আরো বলেন, পশ্চিম এশিয়ায় ইহুদিবাদী ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী আমেরিকার গুণ্ডামির দিন শেষ হয়ে এসেছে এবং তাদেরকে এ অঞ্চল ত্যাগ করতেই হবে। হামাসের প্রতিনিধি বলেন, প্রতিরোধ অক্ষের সামনে এখন ইহুদিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদীদের ফেলে যাওয়া শূন্যস্থান পূরণের ঐতিহাসিক সুযোগ তৈরি হয়েছে।

তিনি ইহুদিবাদী ইসরাইলকে মুসলিম উম্মাহর অভিন্ন শত্রু হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, এই শত্রুকে পরাজিত করতে সবাইকে ঐক্য ও সংহতি বজায় রাখতে হবে।

১৯৮০র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধে মধ্যে ইরানের ইসলামি শাসনব্যবস্থা বিরোধী সন্ত্রাসী মোনাফেকিন গোষ্ঠী ইরাকি শাসক সাদ্দামের পক্ষ অবলম্বন করে। ওই গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা ১৯৮৮ সালের ২৫ জুলাই ইরাকি বাহিনীর ছত্রছায়ায় ও বাগদাদে দেয়া সমরাস্ত্র নিয়ে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ইরানে অনুপ্রবেশ করে। এই গোষ্ঠীর প্রধান দু’দিনের মধ্যে তেহরান দখলের ঘোষণা দেয়। কিন্তু দু’দিনের মাথায় ১৯৮৮ সালের ২৭ জুলাই ইরানি সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে ওই গোষ্ঠীর হাজার হাজার সদস্য হতাহত হয় এবং অবশিষ্ট সদস্যরা ইরাকে পালিয়ে যায়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ