স্বনির্ভরতা অর্জনের পরিকল্পনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইয়েমেন
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i116576-স্বনির্ভরতা_অর্জনের_পরিকল্পনাকে_অগ্রাধিকার_দিচ্ছে_ইয়েমেন
ইয়েমেন সরকার স্বনির্ভরতা অর্জনের পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণ করেছে। এর আওতায় দেশটি কৃষি এবং স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রেস টিভির সাংবাদিক ইউসুফ মাওরী রাজধানী সানার উপকণ্ঠে একটি কৃষি এলাকা পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন। 
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
নভেম্বর ৩০, ২০২২ ১৩:৫৮ Asia/Dhaka

ইয়েমেন সরকার স্বনির্ভরতা অর্জনের পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণ করেছে। এর আওতায় দেশটি কৃষি এবং স্থানীয় পর্যায়ে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। প্রেস টিভির সাংবাদিক ইউসুফ মাওরী রাজধানী সানার উপকণ্ঠে একটি কৃষি এলাকা পরিদর্শন শেষে এই তথ্য জানিয়েছেন। 

সরেজমিন প্রতিবেদনে তিনি জানান, ইয়েমেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা ওয়াজি আল মোতাওয়াকেলকে কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর প্রকল্প দেখভাল করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, রসুন, পেঁয়াজ বার্লি এবং গমের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে কারণ এসব ফসল হচ্ছে ইয়েমেনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, সৌদি আরবের পক্ষ থেকে ইয়েমেনের ওপর যে অবরোধ আরোপ করে রাখা হয়েছে তা উপেক্ষা করে জনগণের মুখে যদি খাবার তুলে দিতে হয়, তাহলে এসব ফসল উৎপাদন অপরিহার্য।

ইয়েমেনের খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলার জন্য যেসব পথ অনুসরণ করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জলাশয়ে গ্রিনহাউজ প্রকল্প বাস্তবায়ন। শসা, টমেটো এবং পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই তোলা যায় যার অর্থ হলো দ্রুত ইয়েমেনের অর্থনীতিতে খাদ্যশস্য যুক্ত হবে এবং পণ্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখা সহজ হবে।

ইয়েমেনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, প্রতিবছর ইয়েমেন ৪০ লাখ টন গম আমদানি করে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে কৃষকদের এই বিপুল পরিমাণ গম নিজেদের ভূমিতে উৎপাদন করতে হবে। তবে আশার কথা হচ্ছে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়ে দেশের কৃষকেরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছেন। 

খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব হলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য নানা ধরনের সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে উঠবে। এরইমধ্যে কিয়ান ফাউন্ডেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা বিভিন্ন ধরনের ফুল থেকে খাদ্য সামগ্রী তৈরি করছে, পাশাপাশি নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর নাস্তার উপাদান উৎপাদন করছে যা দেশে এবং দেশের বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ইয়েমেনে বিপ্লব হওয়ার পর এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা কঠিন কোনো কাজ নয়। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে সংঘঠিত এই বিপ্লব, খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের ক্ষেত্রে স্টার্টিং পয়েন্ট হতে পারে।#


পার্সটুডে/এসআইবি/এমএআর/৩০