ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি-চুক্তি পুনর্বিবেচনার দাবি!
ইসরাইলি মন্ত্রীর ঔদ্ধত্য ও জর্দান সংসদের পাল্টা চপেটাঘাত!
জর্দান এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের সম্পর্কে আবারও তীব্র টানা-পড়েন ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ফলে আম্মান-তেলআবিব নিরাপত্তা সহযোগিতা ও শান্তি-চুক্তির ভবিষ্যতও অনিশ্চিত হয়ে উঠতে পারে!
ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচ সম্প্রতি এমন একটি মানচিত্র প্রদর্শন করেছেন যেখানে জর্দানের কিছু অংশ ও গোটা অধিকৃত ফিলিস্তিনকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ ছাড়াও বর্ণবাদী ইসরাইলের এই মন্ত্রী ফিলিস্তিনি-বিদ্বেষ ও উগ্রতার দিক থেকে অতি-কট্টরদের অন্যতম হিসেবে যে কুখ্যাতি অর্জন করেছেন আবারও তার নজির দেখিয়ে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনি জাতি বলে কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই! এর আগে তিনি ফিলিস্তিনিদের একটি গোটা শহরকে ধ্বংস করে দিতে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছিলেন!
এবার ওই ধর্মান্ধ বর্ণবাদী মন্ত্রীর সর্ব-সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিবাদে জর্দানের সংসদ ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়াও ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে স্বাক্ষরিত শান্তি-চুক্তি বাতিল করার বিষয়টি বিবেচনা করারও দাবি জানিয়েছে জর্দানি সংসদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি।
আম্মান ও তেলআবিবের মধ্যে এইসব উত্তেজনা এমন সময় দেখা দিয়েছে যখন এর আগে নেতানিয়াহুর মন্ত্রীসভা মুসলমানদের প্রথম কিবলার শহর তথা ফিলিস্তিনের পবিত্র কুদস শহরসহ অন্য পবিত্র স্থানগুলোর ওপর জর্দানের তত্ত্বাবধানকে বাতিল করার বা দুর্বল করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জর্দান সরকার ফিলিস্তিনের মুসলমান ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় পবিত্র স্থাপনা বা স্থানগুলোর প্রাচীন তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে এই অধিকারের ক্ষেত্রে কারো হস্তক্ষেপকে সব সময়ই নিজের লাল-সীমানার লঙ্ঘন হিসেবে দেখে থাকে।
এ ছাড়াও জর্দান সরকার জর্দানকে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী আবাসভূমিতে পরিণত করার তথা দেশটিকে বিকল্প ফিলিস্তিন হিসেবে চালিয়ে দিতে ফিলিস্তিনিদেরকে সেখানে জোর করে পাঠিয়ে দেয়ার ইসরাইলি প্রচেষ্টাকেও তার অধিকারের ওপর বড় ধরনের আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করে থাকে।ইসরাইল জর্দানের এ দুই লাল সীমানাই লঙ্ঘন করছে।
এ অবস্থায় জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান আসসাফাদি বলেছেন, ইসরাইলি দখলদারিত্ব হচ্ছে সব অনিষ্টতা ও দুষ্কৃতির মূল-ভিত্তি এবং এই দখলদারিত্বের অবসান না ঘটা পর্যন্ত গোটা অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে না!
জর্দানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ইসরাইলের অর্থ মন্ত্রীর ওইসব বক্তব্যের প্রতিবাদে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতকেও তলব করেছে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।