সাবরা-শাতিলা গণহত্যার কলঙ্ক কখনো মুছে যাবে না: নাসের কানয়ানি
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i128192-সাবরা_শাতিলা_গণহত্যার_কলঙ্ক_কখনো_মুছে_যাবে_না_নাসের_কানয়ানি
সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী আজ। বর্বরতার ইতিহাসে এক জঘণ্যতম উদাহরণ সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ড। দখলদার ইসরাইল ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির সাবরা ও শাতিলায় নৃশংসতম পাশবিকতা চালায়। ৩ দিন ধরে তারা ওই বর্বরতা চালিয়েছিল। বর্ণবাদী সন্ত্রাসী যন্ত্র ইসরাইলের ওই পরিকল্পিত অপরাধকে পশ্চিমারা বিশেষ করে আমেরিকা নির্লজ্জ সমর্থন করেছিল।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩ ১৩:০৭ Asia/Dhaka

সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকী আজ। বর্বরতার ইতিহাসে এক জঘণ্যতম উদাহরণ সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ড। দখলদার ইসরাইল ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবির সাবরা ও শাতিলায় নৃশংসতম পাশবিকতা চালায়। ৩ দিন ধরে তারা ওই বর্বরতা চালিয়েছিল। বর্ণবাদী সন্ত্রাসী যন্ত্র ইসরাইলের ওই পরিকল্পিত অপরাধকে পশ্চিমারা বিশেষ করে আমেরিকা নির্লজ্জ সমর্থন করেছিল।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল শ্যারনের সময়কার ওই ন্যাক্কারজনক হত্যাযজ্ঞে শিশু-নারী-বৃদ্ধসহ অন্তত ৩ হাজার ফিলিস্তিনী শরণার্থী শহীদ হয়েছিল। সে সময় বলা হয়েছিল শরণার্থী সংখ্যা ছিল ২০ হাজার আর শহীদদের সংখ্যা সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার।

সাবরা ও শাতিলার ওপর ওই হত্যাযজ্ঞ চালানোর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ৩ মাসের অবরোধের সময় ইহুদিবাদীদের যুদ্ধযন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ শক্তির রুখে দাঁড়ানো। তথাকথিত ওই অপরাধের কারণেই ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বর্বর সন্ত্রাসী বাহিনী প্রতিশোধ নিয়েছিল। আন্তর্জাতিক সমাজ সে সময় প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিল: ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ বাহিনী যদি বৈরুত ছেড়ে যায় তাহলে তারা ফিলিস্তিনি শিবিরের গৃহহীন বাসিন্দাদের সহায়তা করবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি দেওয়া দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রাখে নি। তারা আগ্রাসীদের অমানবিক অপরাধের পর ওই শিবিরের নিরীহ বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়ায় নি, খোজও নেয় নি।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ডকে ফিলিস্তিনিদের ওপর 'গণহত্যা' বলে অভিহিত করেছে। তবে গণহত্যার অপরাধের জন্য দায়সারা নিন্দা জানানো ছাড়া আর কিছুই করে নি। নিরাপত্তা পরিষদ অবশ্য একটি কাজ করেছে। তারা লোক দেখানো হলেও ইহুদিবাদী সেনাদেরকে লেবাননের সীমান্তে নিঃশর্তভাবে প্রত্যাহার করে নিতে বলেছিল। কিন্তু নিরস্ত্র ও অসহায় ফিলিস্তিনিদের ওপর তারা হত্যাকাণ্ড চালানো বন্ধ করে নি। সাবরা-শাতিলা গণহত্যার ৪১ বছর পরেও ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর সুপরিকল্পিতভাবে রাষ্ট্রীয় অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিষদ কিংবা পশ্চিমা শক্তিগুলি মৌখিকভাবেও  ওই হত্যাযজ্ঞের নিন্দা করে না।

সেই সাবরা ও শাতিলা হত্যাকাণ্ডের বার্ষিকীতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি চাফি ওই ঘটনাকে এমন কলঙ্ক বলে অভিহিত করেছেন যা ইহুদিবাদী শাসক এবং তাদের দোসরদের কপাল থেকে কখনো মুছে যাবে না। ফিলিস্তিনীদের কাছে আজ যে সত্যটি প্রমাণিত তা হলো, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিষ্ক্রিয়তার কারণে ইসলাইল তাদের অপরাধ চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কোনো বৈশ্বিক সংস্থা বা শক্তিই ফিলিস্তিনীদের জন্য নিরাপত্তার গ্যারান্টি নয়।#

পার্সটুডে/এনএম/১৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।