হামাস নেতা হানিয়ার টেলিভশন ভাষণ
‘বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের হত্যা করে পরাজয় রুখতে পারবে না ইসরাইল’
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হামলায় পরাজয় ও অপমানের বদলা নিতে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ব্যাপকভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে।
তিনি গতকাল (বুধবার) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, “নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে ইসরাইল নিজের পরাজয় রোধ করতে পারবে না।” মঙ্গলবার একদিনে গাজার বিরুদ্ধে স্থল অভিযানে যাওয়া ইসরাইলের অন্তত ১৬ সেনার নিহত হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে হানিয়া বলেন, এভাবে প্রতিদিন চলতে থাকলে গাজা থেকে যাদের ছাড়িয়ে আনতে আগ্রাসন চালানো হচ্ছে তাদের চেয়ে বেশি ইহুদিবাদী সেনা মারা পড়বে।
হামাস যোদ্ধারা গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে শত শত ইসরাইলিকে বন্দি করে নিয়ে গাজায় ফিরে যান। তেল আবিব দাবি করছে, তাদের চলমান গাজা আগ্রাসনের অন্যতম উদ্দেশ্য ওইসব বন্দিকে মুক্ত করা। হামাস বলেছে, গাজার উপর ইসরাইলি নির্বিচার বিমান হামলায় সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণের পাশাপাশি বন্দি ইসরাইলিরাও মারা পড়ছে। গত মঙ্গলবার গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইহুদিবাদী বাহিনীর ভয়াবহ বোমাবর্ষণে অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনি হতাহত হন। হামাস বলেছে, ওই হামলায় তিন বিদেশি পাসপোর্টধারীসহ সাত ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া তার ভাষণে এ বিষয়টির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, গাজায় নির্বিচার বিমান হামলায় ইসরাইল তার নিজের বন্দি নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। তিনি বলেন, ইসরাইলি বিমান হামলায় গাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিকদের জীবন ও সম্পদ যতখানি বিপন্ন ইসরাইল বন্দিদের জীবনও ঠিক ততটাই বিপন্ন।
হামাসের পলিটব্যুরো প্রধান বলেন, ফিলিস্তিনিরা যতদিন তাদের মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে না পারছেন এবং একটি সার্বভৌম দেশের মালিক না হচ্ছেন ততদিন মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরবে না। তিনি বিশ্বব্যাপী ফিলিস্তিনের সমর্থনে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।