যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ দিন
৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে ১৬ বন্দিকে মুক্তি দিল হামাস
ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির ষষ্ঠ দিনে গতকাল (বুধবার) ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে আরো ১৬ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এই ১৬ জনের মধ্যে ১০ জন ইসরাইলি নারী ও কিশোর, দুই জন রুশ-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক এবং চার জন থাই শ্রমিক।
থাইল্যান্ডের নাগরিকদের ইসরাইলি ভেবে ভুল করে ধরে এনেছিলেন প্রতিরোধ যোদ্ধারা। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী একদিনে মাত্র ১০ জন ইসরাইলিকে মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি শুভেচ্ছার নিদর্শন হিসেবে দুই রুশ-ইসরাইলি নারীকে মুক্তি দেয়া হয় এবং চার থাই শ্রমিককে মানবিক কারণে মুক্তি দেয় হামাস।
বুধবার রাতে মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরাইলি নারীদের মধ্যে একজন মার্কিন-ইসরাইলি দ্বৈত নাগরিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, তিনি ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা এ ব্যাপারে উল্লাস প্রকাশ করেছেন। হামাসের হাতে আট থেকে ১০ জন মার্কিন নাগরিক বন্দি থাকতে পারে বলে এর আগে মার্কিন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছিল।
গাজা যুদ্ধ শুরুর ৫৪তম দিনে মুক্তিপ্রাপ্ত এসব বন্দির সবাইকে বুধবার রাতেই মিশর হয়ে ইসরাইলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর ইসরাইলি বন্দিদেরকে তাদের পরিবারের কাছে তুলে দেয় ইহুদিবাদী সেনারা।
ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বুধবার রাতে যে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরাইলি কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন তাদের মধ্যে ১৪ জন নারী ও ১৬ জন শিশু। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর [গাজার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায়] ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই মেয়াদ নবায়নের কোনো খবর শোনা যায়নি যদিও বিষয়টি নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করতে তেল আবিবে পৌঁছেছেন। ইসরাইলি মন্ত্রিসভা মধ্যরাত পর্যন্ত এ বিষয়ে আলোচনা চালিয়েছে বলেও জানা গেছে। ওদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রেখেছেন যাদের অনেক গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন। #
পার্সটুডে/এমএমআই/৩০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।