‘হামাসকে ধ্বংস করে ইসরাইলি বন্দিদের জীবিত উদ্ধার সম্ভব নয়’
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i133576-হামাসকে_ধ্বংস_করে_ইসরাইলি_বন্দিদের_জীবিত_উদ্ধার_সম্ভব_নয়’
ইহুদিবাদী ইসরাইলের সিনিয়র সেনা কমান্ডাররা গাজা উপত্যকায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এখন এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব নয়।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জানুয়ারি ২১, ২০২৪ ১০:১৬ Asia/Dhaka
  • ‘হামাসকে ধ্বংস করে ইসরাইলি বন্দিদের জীবিত উদ্ধার সম্ভব নয়’

ইহুদিবাদী ইসরাইলের সিনিয়র সেনা কমান্ডাররা গাজা উপত্যকায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ব্যাপক গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পর এখন এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন যে, হামাসকে ধ্বংস করে ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্তত চারজন সিনিয়র কমান্ডারের বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস এ খবর দিয়েছে।

দৈনিকটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারদাতা ইসরাইলি সেনা কমান্ডাররা বলেছেন, তারা গাজায় হামাসের পক্ষ থেকে নজিরবিহীন প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছেন এবং ১০০ দিনেরও বেশি সময় পর উপত্যকার খুব সামান্য অংশই দখলে নিতে পেরেছেন। এ অবস্থায় হামাসকে ধ্বংস করতে গেলে পণবন্দিদের জীবন বিপন্ন হবে; ফলে কূটনৈতিক উপায় ছাড়া ইসরাইলি পণবন্দিদের জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

নিউ ইয়র্ক টাইমসে ইসরাইলের গাজা আগ্রাসনের সময়সীমাগুলোর মুখ থুবড়ে পড়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ শুরুর দিকে যেসব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল তা আশানরূপ গতিতে অগ্রসর হয়নি। ইসরাইলি সেনাবাহিনী আশা করেছিল, ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ তারা গাজা সিটি, খান ইউনিস ও রাফাহ শহরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারবে।

পত্রিকাটি দাবি করেছে, গাজা সিটিতে এ লক্ষ্য খানিকটা অর্জিত হলেও খান ইউনিসে এখনও প্রচণ্ড সংঘর্ষ চলছে এবং রাফাহ শহরে এখনও সেভাবে কোনো অভিযান শুরু করাই যায়নি।

পাশাপাশি গাজায় হামাসের টানেল নেটওয়ার্কও ইসরাইলকে বিস্মিত করেছে বলে খবর দিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল। যুদ্ধ শুরুর আগে তেল আবিব ধারনা করেছিল, হামাসের টানেলের মোট দৈর্ঘ্য বড়জোর ২০০ কিলেমিটার হবে। কিন্তু এখন তারা মনে করছে, এসব টানেল ৯০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যাবে।

লন্ডনের কিংস কলেজের সিকিউরিটি স্টাডিজের শিক্ষক অ্যান্ড্রেস ক্রেইগ এ সম্পর্কে বলেছেন, “মৌলিকভাবে এটি একটি অচলাবস্থা। এটি এমন কোনো পরিবেশ নয় যেখান থেকে আপনি পণবন্দিদের মুক্ত করতে পারবেন।”

তিনি আরো বলেন, “আপনি যদি টানেলের ভেতর বিশেষ ফোর্স পাঠান তাহলে পণবন্দিদের মৃত্যু নিশ্চিত হবে। হয় তারা সরাসরি আপনার গুলিতে নিহত হবে অথবা ক্রসফায়ারে পড়ে মারা যাবে।” ক্রেইগ সরাসরি বলেন, “এই যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব নয়।”

নিউ ইয়র্ক টাইমস এরপর লিখেছে, হামাসের বহু ব্যাটেলিয়ন এখনও অক্ষত রয়েছে এবং তাদের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব রয়েছে অধরা।

ইসরাইলি সেনা কমান্ডারদের বরাত দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমস আরো লিখেছে, ইসরাইল গতমাসে উত্তর গাজায় হামাসের যুদ্ধ সক্ষমতা ধ্বংস করে সেখানে ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ প্রতিষ্ঠা করার কথা ঘোষণা করলেও এখন সেখানে হামাস যোদ্ধাদেরকে পুনর্গঠিত হতে দেখা যাচ্ছে।

অবশ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের এই রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল (শনিবার) ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা সেনা কমান্ডারদের এ ধরনের বক্তব্য সম্পর্কে অবহিত নয় এবং এটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর অবস্থান তুলে ধরে না। অন্যদিকে যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর দপ্তর বলেছে, এ ধরনের বক্তব্যে যুদ্ধ থামবে না বরং পূর্ণ শক্তিতে তারা ‘হামাসকে ধ্বংস করার’ দিকে এগিয়ে যাবে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।