ইরাকি প্রতিরোধ সংগঠনের বিবৃতি
আমেরিকা শুধু প্রতিরোধের ভাষা বোঝে; অন্য কিছু নয়
ইরাকের সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ইসলামী সংগঠনগুলোর জোট পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিট বা হাশদ আশ-শাবি বলেছে, ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ব্যাপারে কমিটি গঠন করতে সম্মত হওয়ার মধ্য দিয়ে একথা প্রমাণ হয়েছে যে, প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের হামলার ফলে তারা এই সমঝোতায় পৌঁছেছে। সাথে সাথে একথা প্রমাণ হয়েছে যে, আমেরিকা শক্তির ভাষা ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না।
ইরাক থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাতাহারের বিষয়ে সময়সূচী ঠিক করার জন্য বাগদাদ এবং ওয়াশিংটন কমিটি গঠন করতে রাজি হওয়ার পর এই বিবৃতি দিল পপুলার মবিলাইজেশন ইউনিট। এতে বলা হয়েছে, আমেরিকা বছরের পর বছর ধরে যে অশুভ এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করে আসছিল পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের হামলা, ইরাকি সংসদের সিদ্ধান্ত এবং ইরাকের মাটি থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের ব্যাপারে ব্যাপকভাবে জনসমর্থন ওয়াশিংটনের সেই চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়েছে।
ইরাকের প্রতিরোধ যোদ্ধারা যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর একের পর এক হামলা অব্যাহত না রাখতো তাহলে এগুলোর কোনো কিছুই ঘটতো না। মার্কিন বাহিনী বহিষ্কারের এই সফলতা বহু শহীদের রক্তে বিনিময়ের অর্জিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ইরাকে বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। এসব সেনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে ইরাকের জনগণের পক্ষ থেকে ব্যাপক চাপ রয়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল কাসেম সুলাইমানিকে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী হত্যা করার পর ইরাক থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের ব্যাপারে সরকারের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়। সে সময় ইরাকের জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস হলেও মার্কিন বাহিনী তা আমলে নেয়নি। সাম্প্রতিক দিনগুলোতে মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা বাড়িয়েছে পপুলার মোবিলাইজেশন ইউনিটের সদস্যরা।#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।