জুন ২২, ২০২৪ ১৬:২৫ Asia/Dhaka
  • মোহাম্মদ আবদুস সালাম
    মোহাম্মদ আবদুস সালাম

পার্সটুডে-ইয়েমেনের ন্যাশনাল স্যালভেশন গভর্নমেন্টের আলোচনাকারী দলের প্রধান মোহাম্মদ আবদুস সালাম নিজেই বলেছেন: ড্রোন নির্মাণে ইয়েমেনের 'উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি' হয়েছে।

তিনি আরও বলেছেন: ইয়েমেন সামরিক শিল্পে অর্থাৎ যুদ্ধাস্ত্রসহ সামরিক সরঞ্জাম নির্মাণে কিছু কিছু প্রতিরোধকারী দেশের অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হয়েছে। আল-মায়াদিনের সাথে এক সাক্ষাত্কারে হুথি আনরুল্লাহ আন্দোলনের নেতা আবদুস সালাম আরও বলেছেন, ইয়েমেনের জন্য যা অসম্ভব বলে মনে করা হতো আজ তার সবকিছুই অর্জিত হয়েছে। পার্সটুডে জানায়, ওই সাক্ষাৎকারে আব্দুল সালাম ইসরাইলি বিভিন্ন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করার ব্যাপারে ইয়েমেনের অভিযান অব্যাহত রাখার কথাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। সেইসাথে তিনি বলেছেন: তবে এক শর্তে ইয়েমেন তার বিশেষ অভিযান বন্ধ করতে প্রস্তুত রয়েছে। সেই শর্ত হলো ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরাইলের অপরাধমূলক আগ্রাসন বন্ধ করা।
ইয়েমেনে আমেরিকা ও ব্রিটিশ হামলার বিষয়ে ন্যাশনাল স্যালভেশন সরকারের আলোচক দলের প্রধান জোর দিয়ে বলেন: এই দেশ দুটি ইসরাইলকে রক্ষা করার জন্য এ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। তিনি আরও বলেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটিশরা গাজায় যেভাবে পরাজিত হয়েছে ইয়েমেনেও ঠিক সেভাবেই ব্যর্থ হবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বেশ কয়েকবার ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা ও ব্রিটেন। ইহুদিবাদী ইসরাইলের ওপর ইয়েমেনের আরোপিত নৌ-অবরোধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হয়। কিন্তু তাদের ওই লক্ষ্য এখনো অর্জিত হয় নি।
গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই ইয়েমেনি সেনা বাহিনী এবং পপুলার কমিটি ইহুদিবাদীদের অপরাধের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থন দিয়ে আসছে। তারা ইসরাইল অভিমুখি জাহাজ এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসা করছে যারা তাদের জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করে চলেছে। ইয়েমেনের এই পদক্ষেপ তেল আবিবের অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে।
ইসরাইলি অপরাধের জবাবে ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলি গাজা উপত্যকা থেকে "আল-আকসা ঝড়" অভিযান শুরু করেছিল। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে ৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে গাজায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনাদের নয়া আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৩৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে এবং ৮৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছে।
১৯১৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের পরিকল্পনায় ইসরাইল গঠনের নীল-নকশা তৈরি হয়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে অভিবাসনের মাধ্যমে ইসরাইল প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে বংশ নির্মূল করার টার্গেট নিয়ে ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর বেপরোয়া গণহত্যা চালিয়ে এসেছে। ফিলিস্তিনীদের সমগ্র ভূমি দখলের জন্য ইসরাইল অসংখ্যবার গণহত্যা চালিয়েছে।#

পার্সটুডে/এনএম/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

ট্যাগ