সৌদি আগ্রাসন ও কলেরায় মৃত্যুর মিছিল: বীভৎস পরিস্থিতি ইয়েমেনে
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i43996-সৌদি_আগ্রাসন_ও_কলেরায়_মৃত্যুর_মিছিল_বীভৎস_পরিস্থিতি_ইয়েমেনে
গত ৩০ মাসের বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের অব্যাহত বিমান হামলায় ইয়েমেনে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমাজ ইয়েমেনে নিরীহ মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি কেবল চেয়ে চেয়ে দেখছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১২, ২০১৭ ১৮:০৮ Asia/Dhaka
  • সৌদি আগ্রাসন ও কলেরায় মৃত্যুর মিছিল: বীভৎস পরিস্থিতি ইয়েমেনে

গত ৩০ মাসের বেশি সময় ধরে সৌদি আরবের অব্যাহত বিমান হামলায় ইয়েমেনে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমাজ ইয়েমেনে নিরীহ মানুষ মারা যাওয়ার বিষয়টি কেবল চেয়ে চেয়ে দেখছে।

চিকিৎসার অভাবে ইয়েমেনে কলেরা রোগের ভয়াবহ বিস্তার ঘটায় হাজার হাজার মানুষের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একদিকে সৌদি আরবের অত্যাধুনিক ও নিষিদ্ধ অস্ত্রের ব্যবহার অন্যদিকে কলেরা রোগের বিস্তারের ফলে সেখানে কঠিন অবস্থা বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে এক প্রতিবেদনে ইরানের স্যাটেলাইট চ্যানেল আল আলম জানিয়েছে, কলেরা রোগে আক্রান্ত বহু মানুষ জায়গা না পেয়ে হাসপাতাল ভবনের বাইরে অবস্থান করছে। সৌদি বিমান হামলায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা অচল হয়ে পড়ায় এবং নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের কারণে পানি দূষিত হয়ে পড়ায় কলেরার বিস্তার ঘটেছে।

ইয়েমেনে কলেরা রোগে আক্রান্ত ১২০ জনের মধ্যে প্রতিদিন একজন করে মারা যাচ্ছে। গত এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকে এ পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় দুই হাজার মানুষ। কলেরায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সৌদি ধ্বংসযজ্ঞের ফল স্বরূপ কলেরা রোগের প্রকোপ থেকে বোঝা যায়, ইয়েমেনের ব্যাপারে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সৌদি আরব পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহার করে পানি দূষিত করেছে যাতে ইয়েমেনের বীর যোদ্ধারা সৌদি আগ্রাসনের কাছে নতি শিকার করতে বাধ্য হয়।

ট্রান্সসেন্ট মিডিয়া গ্রুপের ওয়েব সাইটে লেখা হয়েছে, "ইয়েমেনে কলেরা রোগের প্রকোপ বিপদজনকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। সৌদি বিমান হামলায় পানির উৎস ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ায় খাবার পানি দূষিত হয়ে পড়েছে। আর আমেরিকা ও সৌদি আরব এ পরিস্থিতিকে ইয়েমেনে গণহত্যা চালানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।"

ইয়েমেনে গণহত্যা চালানোর লক্ষ্যে আমেরিকা ও সৌদি আরব একদিকে ইয়েমেনের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অন্যদিকে সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বন্ধ করে রেখেছে। আন্তর্জাতিক সমাজ বিশেষ করে জাতিসংঘ এ ব্যাপারে নীরব থেকে কার্যত ইয়েমেনে চলমান গণহত্যায় শরীক হয়েছে। এমনকি সৌদি আরবের নিষিদ্ধ অস্ত্র ব্যবহারের বিরুদ্ধেও কোনো কথা বলছে না। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুযারিক গতকাল (শুক্রবার) জানিয়ে দিয়েছেন, সানার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেয়ার ব্যাপারে এই সংস্থার কোনো দায় দায়িত্ব নেই। বিমানবন্দর বন্ধ থাকার ফলে খাদ্য ও স্বাস্থ্য পরিসেবা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ কারণে কলেরা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এবং বহু মানুষ এরই মধ্যে মারা গেছে। #         

 পার্সটুডে/মো. রেজওয়ান হোসেন/১২