গোলানে ইসরাইলের কোনো অধিকার নেই: লেবাননের প্রেসিডেন্ট
https://parstoday.ir/bn/news/west_asia-i69525-গোলানে_ইসরাইলের_কোনো_অধিকার_নেই_লেবাননের_প্রেসিডেন্ট
লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, গোলান মালভূমির ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের কথিত সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে না তার দেশ। শুক্রবার লেবানন সফররত একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল রাজধানী বৈরুতে প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি গোলান মালভূমি সম্পর্কে তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ১৩, ২০১৯ ০৫:০১ Asia/Dhaka
  • শুক্রবার বৈরুতে প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন প্রতিনিধিদল
    শুক্রবার বৈরুতে প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মার্কিন প্রতিনিধিদল

লেবাননের প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন বলেছেন, গোলান মালভূমির ওপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের কথিত সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেবে না তার দেশ। শুক্রবার লেবানন সফররত একটি মার্কিন প্রতিনিধিদল রাজধানী বৈরুতে প্রেসিডেন্ট আউনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি গোলান মালভূমি সম্পর্কে তার দেশের অবস্থান স্পষ্ট করেন।

তিনি বলেন, গোলানের ব্যাপারে বৈরুতের সুস্পষ্ট অবস্থান ওই ভূখণ্ডের ওপর ইসরাইলি সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান বিশেষ করে শেবা কৃষিখামার ও কাফরশুবা পাহাড়কে গোলানের অন্তর্গত করার ঘোর বিরোধিতা করছে লেবানন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার কাছ থেকে দখলীকৃত গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের কথিত সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ওই মার্কিন প্রতিনিধিদল বৈরুত সফর করল। লেবাননের প্রেসিডেন্ট এর আগে ট্রাম্পের ঘোষণার পরপরই ওই ঘোষণার ঘোর বিরোধিতা করে একে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।

গোলান মালভূমির একাংশ (ফাইল ছবি)

আন্তর্জাতিক নীতি এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে গত ২৫ মার্চ গোলান মালভূমির ওপর ইসরাইলের সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মুসলিম ও আরব বিশ্বকে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ইরান।

১৯৬৭ সালের ছয় দিনের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় তেল আবিব সিরিয়ার কাছ থেকে কৌশলগত এই এলাকাটি দখল করে নেয়। একই সময়ে লেবাননের শেবা কৃষিখামার ও কাফরশুবা পাহাড়কেও জবরদখল করে নিয়েছিল তেল আবিব। তবে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মহল কখনই এই দখলদারিত্বকে স্বীকৃতি দেয়নি। দশকের পর দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বিশ্বে অন্যান্য দেশগুলোও ইসরাইলের এই জবরদখল প্রত্যাখ্যান করে এসেছিল।#

পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/১৩