ইয়েমেনে বিপর্যয় সৃষ্টির পরও সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন দিয়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকা
(last modified Sun, 28 Apr 2019 13:40:45 GMT )
এপ্রিল ২৮, ২০১৯ ১৯:৪০ Asia/Dhaka
  • ইয়েমেনে বিপর্যয় সৃষ্টির পরও সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন দিয়েছে ব্রিটেন ও আমেরিকা

সৌদি আরব সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতায় ২০১৫ সালের মার্চ থেকে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। এই অন্যায় ও অসম যুদ্ধে আমেরিকা ও ব্রিটেন সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।

সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন দেয়া বন্ধ করার জন্য আমেরিকা ও ব্রিটেনের অভ্যন্তরে ব্যাপক চাপ সত্বেও এই দুই দেশের কর্মকর্তারা সৌদি ও আমিরাতকে সমর্থন দেয়া অব্যাহত রেখে ইয়েমেন যুদ্ধ জিইয়ে রেখেছে। ইয়েমেন ইস্যুতে গতকাল লন্ডনে আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠক শেষে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোটের প্রতি লন্ডন ও ওয়াশিংটনের সমর্থনের কথা জানিয়েছে।

চার দেশের যৌথ বিবৃতিতে ইয়েমেন সংকটের রাজনৈতিক সমাধানের পাশাপাশি গত বছর ডিসেম্বর স্টকহোমে ইয়েমেন বিষয়ক সমঝোতার প্রতি সমর্থন জানানো হয়। বিবৃতিতে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ যোদ্ধাদের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রকে এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে অভিহিত করা হয়। একইসঙ্গে তারা যত দ্রুত সম্ভব সৌদি আরবের বিরুদ্ধে হুথি যোদ্ধাদের হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট স্টকহোম সমঝোতা লঙ্ঘন করে ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আকাশ ও স্থলপথে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়েমেন সংকট সৃষ্টিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালনকারী ওই চার দেশ অর্থাৎ আমেরিকা, ব্রিটেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এখন হুদাইদা বন্দর বিষয়ক সমঝোতা বাস্তবায়নের কথা বলছে।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইয়েমেনে সৌদি আরব ও তার মিত্রদের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও এবং খ্যাতনামা সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় সৌদি আরবের নিন্দা জানালেও আমেরিকা ও ব্রিটেন ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদিকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে খ্যাতনামা রাজনৈতিক বিশ্লেষক বারবারা ভ্যালি বলেছেন, আমেরিকা ও ব্রিটেন ইয়েমেনে ভয়াবহ অপরাধযজ্ঞ ও মানবিক বিপর্যয় ঘটিয়ে চলেছে।

সৌদি আরবের প্রধান মিত্র মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসের ব্যাপক বিরোধিতা সত্বেও ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন দেয়া অব্যাহত রেখেছেন। এমনকি সৌদি আরবের প্রতি সমর্থন দেয়া বন্ধ করার জন্য মার্কিন কংগ্রেস গত ১৬ এপ্রিল প্রস্তাব উত্থাপন করলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাতে ভেটো দেন।

বাস্তবতা হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সৌদি আরবকে তার সাম্রাজ্য বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন। এ কারণে তিনি সৌদি আরবকে দুধ দেয়া গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। ট্রাম্প গতকাল শনিবার এক বক্তৃতায় বলেছেন, আমেরিকার কিছু ব্যক্তি চায় না আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখি। কিন্তু সৌদি আরব আমাদেরকে ৪৫০ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে এবং আমরা চাই না এ বিশাল পরিমাণ অর্থ আমাদের হাত ছাড়া হয়ে যাক।# 

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৮

 

ট্যাগ