অবশেষে গাজার রাস্তায় মহড়া দিলেন ইসরাইলি হামলার শিকার সিনওয়ার
-
গাজাবাসীকে হাত নেড়ে অভিনন্দন জানাচ্ছেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার দু’দিনের মাথায় শনিবার এই উপত্যকার বিভিন্ন সড়কে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলি বাহিনীর ১২ দিনের পাশবিক হামলার সময় সিনওয়ারের বাসভবনে হামলা চালায় ইহুদিবাদী জঙ্গিবিমান। হামলায় তার বাসভবন ধ্বংস হয়ে যায়।ওই হামলায় সিনওয়ার নিহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ইসরাইলি গণমাধ্যম দাবি করলেও ফিলিস্তিনি সূত্রগুলো বলছিল, তিনি হামলার সময় ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
হামাসের সামরিক শাখার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এই ফিলিস্তিনি নেতা শনিবার প্রকাশ্য জনসমক্ষে বের হয়েই হামাসের অন্যতম কমান্ডার বাসিম ঈসার বাসভবনে যান। সাম্প্রতিক ইসরাইলি হামলায় হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডসের অন্যতম কমান্ডার বাসিম ঈসা শাহাদাতবরণ করেন।

ইসরাইলি যুদ্ধমন্ত্রী (প্রতিরক্ষামন্ত্রী) বেনি গানতেজ গাজা যুদ্ধের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন, ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পাশাপাশি ইজ্জাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেডসের প্রধান কমান্ডার মোহাম্মাদ দেইফকে হত্যা করা হবে গাজা অভিযানের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।কিন্তু দখলদার শক্তির সে উদ্দেশ্য সফল হয়নি।
গত ১০ মে গাজা উপত্যকার উপর ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলা শুরু হয়। ২১ মে পর্যন্ত চলা এ আগ্রাসনে ৬৯ শিশু ও ৩৯ নারীসহ ২৪৮ ফিলিস্তিনি শহীদ হন। আহত হন আরো ১৯১০ ফিলিস্তিনি। ইসরাইলি আগ্রাসনের মোকাবিলায় দখলীকৃত ভূখণ্ডে চার হাজারের বেশি রকেট নিক্ষেপ করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনগুলো। শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধের মধ্যে ২১ মে মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে বাধ্য হয় ইহুদিবাদী ইসরাইল।ফলে এ যুদ্ধে ফিলিস্তিনি সংগ্রামীদের বিজয় স্পষ্ট হয় যায়।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।