উত্তেজনার আগুনে ঘি ঢেলে দিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
‘১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সর্ববৃহৎ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে রাশিয়া’
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন দাবি করেছেন, রাশিয়া ১৯৪৫ সালের পর ইউরোপে সর্ববৃহৎ যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রগুলো থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে তিনি বিবিসি’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, এরইমধ্যে এ ধরনের হামলার ছক বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
এতদিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলে এসেছেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যে’ ইউক্রেনে হামলা চালাতে যাচ্ছে রাশিয়া। এমনকি ‘যেকোনো মুহূর্তে’ হামলা শুরু হবে বলেও গত সপ্তাহে দাবি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছু ঘটেনি এবং রাশিয়াও হামলার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে।
কিন্তু এবার বাইডেন বিরতি দিয়ে মাইক্রোফোন জনসনের মুখে তুলে দিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে রাজধানী কিয়েভ অবরোধ করতে চায়।
জার্মানির মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়া বরিস জনসন বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, এ ধরনের একটি ভয়াবহ যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে জানমালের যে ক্ষতি হবে সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারনা থাকা প্রয়োজন।
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের সম্ভাবনা কতটা যথার্থ এবং তা অচিরেই ঘটবে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুঃখজনকভাবে বলতে হয় যে, সব তথ্যপ্রমাণ তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোকে জানিয়েছেন যে, রাশিয়া শুধু পূর্ব সীমান্ত দিয়েই ইউক্রেনে হামলা চালাবে না সেইসঙ্গে কিয়েভ অবরোধ করার জন্য বেলারুশ দিয়েও ইউক্রেনের অভ্যন্তরে সেনা পাঠাবে।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করছে, ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে রাশিয়ার সেনা ও ইউক্রেনের রুশপন্থি অস্ত্রধারী বিচ্ছিন্নতাবাদী মিলে এক লাখ ৬৯ হাজার থেকে এক লাখ ৯০ হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। এসব সংস্থা আরো দাবি করছে, যেকোনো মুহূর্তে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এসব সেনার কাছে ইউক্রেন আগ্রাসনের নির্দেশ আসতে পারে। #
পার্সটুডে/এমএমআই/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।