তালেবানের আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শুলেঙ্গারে শহরের অধিবাসীরা
https://parstoday.ir/bn/news/world-i104486-তালেবানের_আচরণের_তীব্র_প্রতিবাদ_জানিয়েছে_শুলেঙ্গারে_শহরের_অধিবাসীরা
তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করলেও সেদেশের জনগণ একদিকে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে সশস্ত্র তালেবানদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২২ ১৮:২১ Asia/Dhaka

তালেবান গোষ্ঠী আফগানিস্তানের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করলেও সেদেশের জনগণ একদিকে উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায়েশ বা আইএসসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে অন্যদিকে সশস্ত্র তালেবানদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী।

বালখ প্রদেশের শুলেঙ্গারে শহরের অধিবাসীরা তালেবানের হাতে সেখানকার দোকানপাট ধ্বংসের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, তালেবানের এ স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডে বহুলোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই শহরের অধিবাসীরা আরো বলেছেন, স্থানীয় তালেবান প্রশাসক কোনো সমঝোতা ছাড়াই এবং দোকান মালিকদের অনুমতি না নিয়েই হুমকি ধমকি দিয়ে বলপূর্বক ওই এলাকায় প্রবেশ করে দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। এর আগেও তালেবানদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বালখাব শহরের অধিবাসীরাও প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

এদিকে, তালেবানের একদল সশস্ত্র ব্যক্তির পক্ষ থেকে দোকানপাট ভাঙচুরের বিরুদ্ধে যখন বালখ প্রদেশের জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছে তখন তালেবান সরকার কিছু সশস্ত্র ব্যক্তির চুরি ডাকাতি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানা গেছে। তালেবান সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও অপহরণ রোধ এবং সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ঠেকানোর জন্য অভিযান শুরু করেছে। অনাচার সৃষ্টিকারীরা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে'।

তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ছয় মাস অতিক্রান্ত হলেও সেদেশের বিভিন্ন শহরের জনগণ এখনো সহিংসতার শিকার হচ্ছে।  সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিভিন্ন খবরে দেখা গেছে সশস্ত্র তালেবানরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় জনগণের সাথে দুর্ব্যবহার করছে এবং  তাদের আচরণে বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবার অনেকে কাজ হারিয়েছে এবং তারা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। একদিকে আফগানিস্তানের জনগণের একটি অংশ যখন সশস্ত্র তালেবানের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে তখন অন্যদিকে, তালেবান সরকার চুরি, ডাকাতি ও অপহরণ রোধ এবং অশান্তি ও নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলছে। তালেবানের এ অবস্থান থেকে নিরাপত্তা বিষয়ে তাদের মধ্যে পরস্পর বিরোধী অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

আফগানিস্তানের জনগণ এখন আশা করছে তালেবান সরকার তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে এবং নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার অজুহাতে কেউ যাতে যথেচ্ছাচার করতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হোক। #  

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।