ব্রিটেনের ২ মন্ত্রীর পদত্যাগ; চাপে বরিস জনসনের সরকার
(last modified Wed, 06 Jul 2022 04:03:05 GMT )
জুলাই ০৬, ২০২২ ১০:০৩ Asia/Dhaka
  • ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ (বামে) এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক
    ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ (বামে) এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক

ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ এবং অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক পদত্যাগ করেছেন। গতকাল (মঙ্গলবার) তারা পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর পদত্যাগে বরিস জনসনের রক্ষণশীল সরকার চাপে পড়েছে।

ঋষি সুনাক তার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “সরকারি পদ ছেড়ে দেয়ায় আমি মর্মাহত। কিন্তু এভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়া আর সম্ভব নয়।” তিনি আরও লিখেছেন, ‘জনগণ ন্যায়সঙ্গতভাবে আশা করে সঠিকভাবে, দক্ষতার সঙ্গে ও গুরুত্ব সহকারে সরকার পরিচালনা করা হবে। আমি বিশ্বাস করি যে, এসব মানদণ্ডের জন্য লড়াই করা জরুরি। আর এজন্যই আমি পদত্যাগ করেছি।”

অন্যদিকে, সাজিদ জাভিদ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর তার আস্থা নেই। তিনি আর বিশ্বাস করেন না যে, একের পর এক কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে জাতীয় স্বার্থ রক্ষার সক্ষমতা বরিস জনসনের রয়েছে। তাই তিনি আর জনসনের সরকারে থাকতে চান না।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন

করোনার বিধি লঙ্ঘন করে একাধিক পার্টি আয়োজন করে সমালোচিত হয়েছিলেন বরিস জনসন। এজন্য প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছিলেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে পদত্যাগের চাপে ছিলেন তিনি। অবশ্য, তিনি পার্লামেন্টে তার বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে উতরে যান।

তবে সরকার পরিচালনায় বরিস জনসনের সক্ষমতা নিয়ে নিজ দল ও দলের বাইরে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। সম্প্রতি নতুন করে কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন তিনি। রক্ষণশীল দলের এমপি ক্রিস পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ সম্পর্কে আগে থেকেই জানতেন বরিস জনসন। এর পরও তাকে সরকারের ডেপুটি চীফ হুইপ করেন প্রধানমন্ত্রী জনসন।

এ ঘটনা প্রকাশ্যে এলে আবারও ক্ষমা চান বরিস জনসন। তবে নিজ দল থেকেই এবার তার পদত্যাগের দাবি উঠেছে। এ নিয়ে ভীষণ চাপে রয়েছেন তিনি। এর মধ্যেই সরকারের প্রভাবশালী দুই মন্ত্রীর পদ ছাড়ার ঘোষণা তার ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।#

পার্সটুডে/এসআইবি/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ