কোথায় আছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী?
https://parstoday.ir/bn/news/world-i110408-কোথায়_আছেন_শ্রীলঙ্কার_প্রেসিডেন্ট_ও_প্রধানমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাহাজটি বর্তমানে দেশটির সমুদ্রসীমার কাছে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তিনি সাগর পথেই অন্য দেশে চলে যেতে পারেন।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ১১, ২০২২ ১৭:৫৭ Asia/Dhaka
  • গোতাবায়া ও রনিল
    গোতাবায়া ও রনিল

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে নৌবাহিনীর একটি জাহাজে আত্মগোপন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জাহাজটি বর্তমানে দেশটির সমুদ্রসীমার কাছে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তিনি সাগর পথেই অন্য দেশে চলে যেতে পারেন।

শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারের মাধ্যমে নৌ ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।  প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, তিনি সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরে আশ্রয় নিয়েছেন, কিন্তু তিনি সাগরে অবস্থান করছেন বলেই মনে করছে বিভিন্ন সূত্র।

আগামী ১৩ জুলাই পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট গোতবায়া রাজাপাকসে। তবে নিজ মুখে তাকে এ ঘোষণা দিতে দেখা যায়নি৷ প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ করার বিষয়টি জানিয়েছেন দেশটির সংসদের স্পিকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকেও এমন তথ্য জানানো হয়।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে দাপ্তরিক কাজ শেষে কোথায় অবস্থান করেন তাও স্পষ্ট নয়। তিনি প্রতিদিন কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অফিস করার পর অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। সরকারের পক্ষ থেকে তার অবস্থানও কাউকে জানানো হচ্ছে না।

শ্রীলঙ্কার উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানস্থল প্রকাশ করা হবে না।

চরম আর্থিক সংকটে বিপর্যস্ত শ্রীলঙ্কায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় চলতি বছর মার্চ থেকে। শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে এবং তার বড় ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের দাবি করে আসছিলেন বিক্ষোভকারীরা। প্রবল জনরোষের মুখে গত মে মাসে মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও গোতাবায়া এতদিন নিজের পদে অনড় ছিলেন।

সম্প্রতি বাসভবন ঘেরাও করতে এসে গোতাবায়া রাজাপাকসের আত্মগোপনের সংবাদ জানার পর বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সেখানে প্রবেশ করেন এবং অবস্থান নেন। একই দিন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারি বাসভবনও দখল করেন বিক্ষোভকারীরা, সেই সঙ্গে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তার ব্যক্তিগত বাসভবন। দুই জনই পদত্যাগে রাজি হয়েছেন। তবে এখনও জনগণের ক্ষোভ কমেনি। #

পার্সটুডে/এসএ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।