ভেনেজুয়েলার তেল ট্যাংকার আটক; ক্যারিবীয় অঞ্চলে বিপজ্জনক খেলা তেলের দাম বাড়াচ্ছে
-
ভেনেজুয়েলার তেল ট্যাংকার আটক করল আমেরিকা
পার্সটুডে- যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল ট্যাঙ্কার আটক করার পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে উত্তেজনা আবার বেড়েছে এবং বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিকে, লাতিন আমেরিকায় ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা তেলের দাম বাড়িয়ে দেয়, আবার অন্যদিকে, পূর্ব ইউরোপে শান্তির সম্ভাবনা এবং অতিরিক্ত সরবরাহের শঙ্কায় দাম কমে যায়। এর মধ্যে বৈশ্বিক বাণিজ্য বৃদ্ধি সম্পর্কিত নতুন রিপোর্টগুলো পরিস্থিতি আরও জটিল করেছে। এই প্রতিবেদনে এ বিষয়ের নানা দিক তুলে ধরা হচ্ছে।
ক্যারিবিয়ান সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বিপজ্জনক খেলা; ব্যাপক প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল ট্যাঙ্কার আটক করার পদেক্ষেপ শুধুমাত্র কারাকাসের তীব্র নিন্দার মুখে পড়েনি, বরং আমেরিকার অভ্যন্তরে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করেছে। ডেমোক্র্যাটিক ও রিপাবলিকান দলের আইনপ্রণেতারা একযোগে সতর্ক করেছেন, এই পদক্ষেপটি একটি বড় সংঘাতের আগুনে জ্বালানি যোগাতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপ নিরাপত্তা বাড়ানোর বদলে ভেনেজুয়েলা থেকে ভারী তেলের প্রবাহ সীমিত করে আমেরিকার গালফ কোস্টের রিফাইনারিগুলোকে ঘাটতি ও উচ্চ পরিবহন খরচের মুখে ফেলবে, যার ফলস্বরূপ আমেরিকান ভোক্তাদের উপর চাপ পড়বে। এছাড়া, এই নীতি কারাকাসকে আরও বেশি করে মস্কো ও বেইজিংয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ইউরোপে শান্তির সম্ভাবনা; তেলের দাম বৃদ্ধির হুমকি
বিশ্বের অন্য প্রান্তে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি আলোচনা যদিও ধীর গতিতে চলছে, তবুও এটি তেলের দাম কমার ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটি স্থিতিশীল চুক্তিতে পৌঁছানো, রাশিয়ার তেল রপ্তানি পুরোপুরি স্বাভাকি হতওয়ার পথ খুলে দিতে পারে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি আনতে পারে। একই সময়ে ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার তেল আয়ের হ্রাস সম্পর্কিত রিপোর্ট এসেছে, যা মূলত দাম কমানো এবং রুবলের শক্তিশালী হওয়ার কারণে হয়েছে। বিশ্লেষকরা অনুমান করছেন, যদি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা কমে যায়, তাহলে আগামী বছরের প্রথম দিকে মার্কিন তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৫৫ ডলারের নিচে চলে যেতে পারে।
বিশ্ব বাণিজ্য নতুন রেকর্ডের পথে; চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও ৭ শতাংশ বৃদ্ধি
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান আঙ্কটাড বিশ্ব বাণিজ্যের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্যের পরিমাণ ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে, যা একটি নজিরবিহীন রেকর্ড। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বৃদ্ধি মূলত পণ্য ও সেবার "বাস্তব" বাণিজ্য বৃদ্ধির কারণে ঘটেছে, দাম বৃদ্ধির কারণে নয়, যা বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি হ্রাসের পরিপ্রেক্ষিতে চাহিদার কিছুটা স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দেয়। এদিকে, পূর্ব এশিয়া ৯ শতাংশ রপ্তানি বৃদ্ধি এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ বাণিজ্য প্রায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে এই সেক্টরের নেতৃত্ব দিচ্ছে।#
পার্সটুডে/এসএ/১৬
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন