তাইওয়ান ও ইউক্রেন ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ চীন ও রাশিয়া
https://parstoday.ir/bn/news/world-i111258-তাইওয়ান_ও_ইউক্রেন_ইস্যুতে_ঐক্যবদ্ধ_চীন_ও_রাশিয়া
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, 'তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রতি রাশিয়া সংহতি প্রকাশ করছে'।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুলাই ৩০, ২০২২ ১৭:১২ Asia/Dhaka
  • ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ
    ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, 'তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের প্রতি রাশিয়া সংহতি প্রকাশ করছে'।

তিনি বলেন, 'আমরা চীনের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানাই এবং আমরা মনে করি এ বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয়ার অধিকার বিশ্বের কোনো দেশের নেই'। ক্রেমলিনের মুখপাত্র তাইওয়ানের ব্যাপারে মার্কিন ধ্বংসাত্মক ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, 'বর্তমান বিশ্ব এমনিতেই নানা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংকটে পরিপূর্ণ। এ অবস্থায় কেউ যদি সেরকম কিছু করতে আসে তাহলে তাতে অতিরিক্ত উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়া ছাড়া আর কোনো ফল বয়ে আনবে না।

এদিকে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গতকাল তাইওয়ান প্রশ্নে 'এক চীন' নীতির প্রতি তার দেশের পূর্ণ সমর্থন ঘোষণা করে বলেছেন, 'শুধুমাত্র এক চীন নীতির প্রতি সমর্থনের ক্ষেত্রে আমাদের নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। চীনের সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতি সমর্থন জানানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনো সমস্যা নেই'। মস্কো আশা করে তাইওয়ান প্রশ্নে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এমন উস্কানিমূলক কোনো কাজ কেউ করবে না উল্লেখ করে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ভৌগোলিক কোনো পরিবর্তন ছাড়াই আমরা এক চীন নীতিতে বিশ্বাসী। তিনি বলেন, আমেরিকাও এক চীন নীতির কথা বললেও তাদের মুখের কথা ও কাজের কোনো মিল নেই।

অন্যদিকে, চীনও তাইওয়ান প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং তাইওয়ান প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি তাইওয়ানে সম্ভাব্য মার্কিন হস্তক্ষেপকে 'আগুন নিয়ে খেলার' শামিল মন্তব্য করে বাইডেনকে বলেন, সেরকম কিছু করতে আসলে আমেরিকার হাত পুড়ে যাবে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চীন ও রাশিয়ার এ বক্তব্য থেকে বোঝা যায় মার্কিন উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ওই দুই দেশ শক্ত অবস্থান নিয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর বেইজিং ও মস্কোর মধ্যকার সম্পর্ক আগের চেয়ে আরো মজবুত হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে চীন আজ পর্যন্ত কোনো কথা বলেনি। রাশিয়ার মতো চীনও ইউক্রেন সংকটের জন্য আমেরিকা ও ন্যাটোর উস্কানিকে দায়ী করেছে। রাশিয়া ও চীন মনে করে ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্য করার চেষ্টা, ইউক্রেনে ন্যাটোর সামরিক উপস্থিতি জোরদার এবং মস্কোর বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়ার মাধ্যমে সংকটকে আরো জটিল করে তুলেছে পশ্চিমারাই।

মস্কো তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিংএর প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেয়া থেকে বোঝা যায় দুই দেশই মার্কিন নেতৃত্বে পাশ্চাত্যের হস্তক্ষেপকামী নীতির বিরোধী। দুই দেশই ইউক্রেন ও তাইওয়ানে ওয়াশিংটনের অযাচিত সামরিক হস্তক্ষেপ ও উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের বিরোধী।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩০       

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।