শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার অবসান ঘটছে: রনিল বিক্রমাসিংহে
https://parstoday.ir/bn/news/world-i112044-শ্রীলঙ্কায়_রাষ্ট্রীয়_জরুরি_অবস্থার_অবসান_ঘটছে_রনিল_বিক্রমাসিংহে
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তার দেশে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হবে না। জরুরি অবস্থার আওতায় বর্তমানে যেসব বিধিনিষেধ কার্যকর আছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তা উঠে যাবে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর পরিবেশন করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
আগস্ট ১৭, ২০২২ ১৭:৩১ Asia/Dhaka
  • সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের চিত্র
    সরকার-বিরোধী বিক্ষোভের চিত্র

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বলেছেন, তার দেশে রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হবে না। জরুরি অবস্থার আওতায় বর্তমানে যেসব বিধিনিষেধ কার্যকর আছে, আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) তা উঠে যাবে। শ্রীলঙ্কার স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর পরিবেশন করেছে।

নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কায় গত ১৮ জুলাই জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তখনকার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বিক্রমাসিংহে। এরপর ২০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি।

গতকাল শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন পেশাদারদের সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অব প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন্স’র ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিতে গিয়ে বিক্রমাসিংহে বলেন, “আমি জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়াব না। ১৮ আগস্ট এটি শেষ হবে।”

এদিন দেশের বিভিন্ন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার অঙ্গীকার করলেও বিক্রমাসিংহে বলেছেন, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিধিনিষেধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, ‘পার্লামেন্টকে সরকারে পরিণত করতে চাই আমরা। আমাদের একটি পর্যবেক্ষক কমিটি থাকবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে সংস্কার আনার উপায় ও করণীয় নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে পার্লামেন্টের বাইরের তরুণ সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হবে। সব দলের সমন্বয়ে একটি জাতীয় পরিষদও গঠন করব আমরা।”

প্রবাসীরা যেন দেশের উন্নয়নে অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে একটি প্রবাসী কার্যালয় খোলারও ঘোষণা দিয়েছেন বিক্রমাসিংহে।

শ্রীলঙ্কায় ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত ১৩ জুলাই মালদ্বীপে পালিয়ে যান দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে। এর এক দিন পর রাজপাকসে মালদ্বীপ থেকে সিঙ্গাপুর চলে যান।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১৭