নিউজ ব্রিফিংয়ে জানালেন দিমিত্রি পেসকভ
ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরণের’ প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে
ইউক্রেনকে ‘বেসামরিকীকরণের’ প্রক্রিয়ায় রুশ সেনাবাহিনী উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। চলতি বছরের গোড়ার দিকে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার সময় দেশটির বেসামরিকীকরণকে অভিযানের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে ঘোষণা করেছিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গতকাল (শুক্রবার) মস্কোয় এক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, “একথা জোর দিয়ে বলা যায় যে, বেসামরিকীকরণের প্রক্রিয়ার দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।” প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক বক্তব্যের জের ধরে পেসকভ একথা বলেন। পুতিন সম্প্রতি এক বক্তব্যে দাবি করেন, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শূন্যের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভিযানের শুরুতে পুতিন বলেছিলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের রুশ-পন্থি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর বেসামরিকীকরণ করা হবে অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন খবরে জানা যায়, রাশিয়ার বিমান হামলায় ইউক্রেনের সামরিক শিল্প এবং এর জ্বালানী ও যোগাযোগ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গণমাধ্যমগুলো এখন থেকে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জানায়, ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক জ্বালানী ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বাকি অর্ধেক মারাত্মক হুমকির মুখে রয়েছে। এসব খবরে আরো বলা হয়, জ্বালানির অভাবে ইউক্রেন সম্পূর্ণ অন্ধকারে চলে যাওয়ার মুখে রয়েছে।
তবে ইউক্রেনের নিজস্ব সমরাস্ত্রের ভাণ্ডার ফুরিয়ে আসলেও আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভের প্রতি সমরাস্ত্রের ঢল নামিয়ে দিয়েছে। ইউরোপীয় দেশগুলো বাদে শুধুমাত্র পেন্টাগন এখন পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৫০ বিলিয়ন বা ৫,০০০ কোটি ডলারের অস্ত্রসস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করেছে বলে প্রেস টিভি জানিয়েছে।
পেসকভ এর আগে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওয়াশিংটন সফররত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাক্ষাৎ একথা প্রমাণ করে যে, আমেরিকা ইউক্রেনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘প্রক্সি যুদ্ধ’ চালাচ্ছে।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৪