ইউক্রেনের সঙ্গে তাল মেলাল তার পশ্চিমা মিত্ররা
যুদ্ধবিরতি ও আলোচনার প্রস্তাব দিলেন পুতিন; ইউক্রেনের প্রত্যাখ্যান
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন সরকার যদি দেশটির ভূখণ্ডে আসা পরিবর্তনকে মেনে নেয় তাহলে মস্কো কিয়েভের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করার ব্যাপারে আন্তরিক আলোচনায় বসতে রাজি আছে। তিনি বৃহস্পতিবার রাতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে এ প্রস্তাব তুলে ধরেন।
ইউক্রেনের ভূখণ্ডে পরিবর্তন বলতে দেশটির যে চারটি অঞ্চলকে গণভোটের মাধ্যমে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেকথা বোঝাতে চায় রাশিয়া। টেলিফোনালাপে পুতিন সুস্পষ্ট করে বলেন, তার দেশ ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত রয়েছে তবে শর্ত হচ্ছে গত বছর দেশটির যেসব অঞ্চল রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়েছে সেসবের ওপর ইউক্রেনকে রাশিয়ার সার্বভৌমত্ব মেনে নিতে হবে।
ক্রেমলিন আরো বলেছে, অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের ক্রিসমাস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট পুতিন তার সেনাদের যুদ্ধবিরতি পালন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ইউক্রেনের একজন কর্মকর্তা আজ (শুক্রবার) দিনের মধ্যভাগ থেকে ৩৬ ঘণ্টার জন্য ঘোষিত ওই যুদ্ধবিরতি প্রত্যাখ্যান করেছেন।তিনি ক্রেমলিনের এ ঘোষণাকে ‘ভণ্ডামি ও প্রচারণা’ উল্লেখ করে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের দখল করা ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেই কেবল ‘অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি’ মেনে নেয়া হবে।
কিয়েভের পক্ষ থেকে রুশ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের এই ঘোষণার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেছেন, পুতিন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করার মাধ্যমে ‘কিছুটা দম নেয়ার চেষ্টা’ করছেন। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যানেলিনা বেয়ারবক বলেছেন, পুতিন সত্যি সত্যিই শান্তি চাইলে তাকে আগে রুশ সেনাদেরকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নিতে হবে।তিনি এক টুইটার বার্তায় লিখেছেন, “কথিত যুদ্ধবিরতির অর্থ যেমন স্বাধীনতা নয় তেমনি এর ফলে রুশ দখলদারিত্বে থাকা জনগণের মধ্যে যে আতঙ্ক বিরাজ করছে তারও অবসান নয়।” #
পার্সটুডে/এমএমআই/৬