আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত সেনারা সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস-প্রবণ হয়
https://parstoday.ir/bn/news/world-i124188-আমেরিকার_অবসরপ্রাপ্ত_সেনারা_সবচেয়ে_বেশি_সন্ত্রাস_প্রবণ_হয়
আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা অন্য হামলাকারীদের চেয়ে ২.৪১ গুণ বেশি সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে জড়িত থাকে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক এক গবেষণা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
(last modified 2025-09-29T12:37:45+00:00 )
জুন ০৯, ২০২৩ ১৪:০৮ Asia/Dhaka
  • অবসরপ্রাপ্ত সেনারা বেশি সন্ত্রাস প্রবণ হয়
    অবসরপ্রাপ্ত সেনারা বেশি সন্ত্রাস প্রবণ হয়

আমেরিকার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যরা অন্য হামলাকারীদের চেয়ে ২.৪১ গুণ বেশি সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে জড়িত থাকে। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব মেরিল্যান্ডের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক এক গবেষণা থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

তুলনা করে দেখা যায়- যে সমস্ত ব্যক্তির অপরাধমূলক তৎপরতার রেকর্ড ছিল তারা গোঁড়া সন্ত্রাসবাদী হওয়ার আগের চেয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরুর পর ১.২৬ গুন অপরাধ সংঘটন করেছে। কিন্তু আমেরিকার যেসব সেনা সদস্য অবসরে যায় এবং সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে তাদের এই ধরনের তৎপরতা সাধারণ সন্ত্রাসীদের চেয়ে অনেক বেশি মাত্রায় থাকে।

১৯৯০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম হয়েছে এবং সেগুলোতে যে সন্ত্রাসীরা জড়িত ছিল -এমন কয়েক হাজার ব্যক্তির অপরাধমূলক তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই গবেষণা চালানো হয়েছে।

এতে দেখা গেছে- হামলায় জড়িত থাকা ১৭০ ব্যক্তি বিক্রি যাদের মার্কিন সামরিক বাহিনীতে কাজ করার ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে তারা ১৪৪টি ম্যাস শুটিংয়ে জড়িত ছিল কিংবা গণভাবে হত্যাকাণ্ডের চেষ্টা চালিয়েছে।

যদিও গবেষণায় বলা হচ্ছে- এই ধরনের গণ-গুলিবর্ষণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই প্রতি চারটির মধ্যে তিনটি বানচাল করা সম্ভব হয়েছে,তবে সাবেক সেনা সদস্য এ ধরনের সহিংসতার পরিকল্পনা খুব বেশি বানচাল করা যায়নি।  

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাট দল থেকে নির্বাচিত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য মার্ক টাকানো চলতি বছরের প্রথম দিকে দাবী করেছিলেন যে, ২০১০ সালের পর সাবেক সেনাদের পক্ষ থেকে এই ধরনের চরমপন্থী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের মাত্রা চারগুণ বেড়েছে। গত ৩০ বছরে মার্কিন সাবেক সেনা সদস্যরা ৩১৪ ব্যক্তিকে হত্যা এবং ২০০০ জনকে আহত করেছে। গত বছরের অক্টোবরে মার্কিন হাউজ ভ্যাটেরান অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়। মার্ক টাকানো বলেন, এগুলো বাস্তবতা, এগুলোকে অস্বীকার করার উপায় নেই।#

পার্সটুডে/এসআইবি/ জি এআর/ ৯