‘ন্যাটো জোট যুদ্ধ করুক, রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে’
https://parstoday.ir/bn/news/world-i124670-ন্যাটো_জোট_যুদ্ধ_করুক_রাশিয়া_প্রস্তুত_রয়েছে’
রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মস্কো প্রস্তুত। কয়েকদিন আগে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সংঘাত "বন্ধ" করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ। এরপর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন।  
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুন ২১, ২০২৩ ১৪:০৬ Asia/Dhaka
  • ‘ন্যাটো জোট যুদ্ধ করুক, রাশিয়া প্রস্তুত রয়েছে’

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেনে ন্যাটো জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য মস্কো প্রস্তুত। কয়েকদিন আগে ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও সংঘাত "বন্ধ" করার যেকোনো পদক্ষেপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ন্যাটো মহাসচিব ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ। এরপর রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই বক্তব্য দিলেন।  

জার্মানির ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগের সাথে এক সাক্ষাৎকারে স্টলটেনবার্গ ঘোষণা করেছিলেন যে "শান্তি মানে সংঘাত স্থগিত করা এবং রাশিয়ার বেধে দেয়া নির্ধারিত চুক্তি মেনে নেয়া নয়।" স্টলটেনবার্গ ওই সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, "শুধুমাত্র ইউক্রেনই গ্রহণযোগ্য শর্তগুলো ঠিক করে দিতে পারে।" রাশিয়ার বাহিনীকে সংঘাত-পূর্ববর্তী সীমানায় ফেরত পাঠানোর বিষয়ে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে কিয়েভ সরকার। স্টলটেনবার্গের কথা মূলত তারই প্রতিধ্বনি।  

ল্যাভরভ বলেন, “স্টলটেনবার্গের মাধ্যমে ন্যাটো জোট যদি আগের মতো আবারো ঘোষণা করে যে, তারা যুদ্ধ বন্ধের বিরুদ্ধে, তাহলে বুঝতে হবে তারা যুদ্ধ চায়। ঠিক আছে তাহলে তাদেরকে যুদ্ধ করতে দিন এবং এর জন্য আমরা প্রস্তুত। ইউক্রেনকে ঘিরে ন্যাটো জোটের লক্ষ্য আমরা অনেক আগেই বুঝতে পেরেছি, এই লক্ষ্য তারা বহু বছর আগেই ঠিক করেছে।”

রাশিয়ার কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন থেকে আমেরিকা এবং তার ন্যাটো মিত্রদেরকে কিয়েভকে অস্ত্র সরবরাহ করার জন্য অভিযুক্ত করে আসছে। রুশ কর্মকর্তারা বলছেন, এসব অস্ত্র সরবরাহ করে তারা ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্প্রতি এই সংঘাতকে পুরো পশ্চিমা জগতের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সেনাদের যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন। সের্গেই ল্যাভরভ মূলত প্রেসিডেন্ট পুতিনের সেই মনোভাবকেই নতুন করে তুলে ধরলেন।#

পার্সটুডে/এসআইবি/ জিএআর/ ২১