চীনা বিশেষজ্ঞ: বিশ্ব অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও উদ্ভাবনের নতুন প্রতীক 'ব্রিকস'
https://parstoday.ir/bn/news/world-i151274
পার্সটুডে: চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ব্রিকস স্টাডিজ সেন্টার'-এর পরিচালক শেন ই বলেছেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো আজকের বিশ্বে স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও উদ্ভাবনের প্রতিফলন।
(last modified 2025-08-19T12:24:02+00:00 )
আগস্ট ১৯, ২০২৫ ১৮:১৯ Asia/Dhaka
  • সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন \\\'ব্রিকস স্টাডিজ সেন্টার\\\'-এর পরিচালক শেন ই
    সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন \\\'ব্রিকস স্টাডিজ সেন্টার\\\'-এর পরিচালক শেন ই

পার্সটুডে: চীনের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ব্রিকস স্টাডিজ সেন্টার'-এর পরিচালক শেন ই বলেছেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো আজকের বিশ্বে স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা ও উদ্ভাবনের প্রতিফলন।

ইরানসহ অন্যান্য সদস্যদের অংশগ্রহণে ব্রিকস বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক লক্ষ্য সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। এই জোট গঠিত হয়েছে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এবং ধীরে ধীরে এর সম্প্রসারণ ঘটছে। সদস্য দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি খাতে একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। বর্তমানে ব্রিকসের হাতে রয়েছে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশের বেশি এবং বৈশ্বিক মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৩৭ শতাংশ।

'টিভি ব্রিকস'-এর বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রিকস স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক শেন ই (Shen Yi) বলেন, ব্রিকস আজকের পৃথিবীতে স্থিতিশীলতা ও নিশ্চিয়তার প্রতীক।

তিনি উল্লেখ করেন, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো অভিন্ন মূল্যবোধ ধারণ করে এবং এই দেশগুলোর অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও শক্তিশালী হবে। শেন ই ব্রিকসকে একটি নতুন ও উদ্ভাবনী প্রক্রিয়া ও সংগঠন হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এটি এমন একটি সেরা উদাহরণ যা নতুন পথ অনুসন্ধানকারী দেশগুলোর জন্য দিকনির্দেশক হতে পারে।

এই অর্থনীতিবিদ জানান, উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো এবং গ্লোবাল সাউথভুক্ত বহু দেশ ব্রিকসে যোগ দিতে আগ্রহী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ব্রিকস বহু সাফল্য অর্জন করেছে, যার মধ্যে রয়েছে নতুন উন্নয়ন ব্যাংক (New Development Bank) প্রতিষ্ঠা, যাতে করে বৈশ্বিক পরিসরে আর্থিক সহায়তা প্রদান সম্ভব হয়।

তিনি আরও বলেন, দক্ষিণের দেশগুলো এবং ব্রিকস সদস্যরা অবকাঠামো উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (IMF) তুলনায় আরও গঠনমূলক ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি রাখে এবং প্রয়োজনীয় দেশগুলোকে আরও কার্যকর সহায়তা প্রদান করে।

ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পরিচালক জোর দিয়ে বলেন, ব্রিকসের তরুণ প্রজন্ম একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হবে এবং যৌথভাবে জ্ঞান ও সম্পদ ভাগাভাগি করতে পারবে।

তার মতে, ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা শুরু করতে পারে এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি, অবকাঠামো, শিল্পোন্নয়নসহ সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে অগ্রগতির পথ তৈরি করতে পারে।#

পার্সটুডে/এমএআর/১৯